কমলদহ |
একদিনে ঘুরে এলাম নাপিত্তাছড়া আর কমলদহের অনিন্দ্য সুন্দর ঝিড়িপথ গুলো আর সাথে ৭টি ঝর্না, খরচ পরেছে মাত্র ১১৮০টাকা৷
নাপিত্তাছড়া নিয়ে এর আগে আমার আরও একটি পোস্ট আছেঃ
এই লোকেশন গুলায় যাওয়া এতই সহজ যে দ্বিগুন খরচে অন্যকোন গ্রুপের সাথে যাওয়ার প্রয়োজন নেই এমনকি প্রয়োজন নেই কোন গাইডের, জাস্ট নিজেরা পরিচিত কয়েকজন মিলে একটা ছোট টিম করে কিছু ইনফরমেশন জেনে নিয়ে বেরিয়ে পরুন কথা দিলাম লাইফে মনে রাখার মতো একটা অ্যাডভেঞ্চার হবে৷
আমরা ৮জন পুরাতন পাপী ৩০শে এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের বাসে উঠে গুগল ম্যাপ দেখে দেখে খুব ভোরে নেমে গেছি মিরসরাইয়ের নয়দুয়ারি মসজিদের সামনে৷ হাইওয়ে থেকে পূর্বদিকে একটা ছোট পাকা রাস্তা ঢুকে গেছে, ভোর ৫টার দিকে হাটা শুরু...
ঐ রাস্তা ধরে হেটে পাকা রাস্তা, সলিং, মাটির রাস্তা পেরিয়ে পেয়ে গেছি নাপিত্তাছড়া ঝিরি৷ (পথ চিনতে প্রবলেম হলে গ্রামের মানুষদের জিগ্যেস করলেই হবে) ঝিরির কাছে এসে সংগে আনা আপেল, কলা, বিস্কুট খেয়ে ব্যাগটা হালকা করে নিলাম৷ (অতো ভোরে আশেপাশে খাবারের দোকান গুলা বন্ধ থাকে) এরপর ঝিরিপথ ধরে হাটা শুরু.... ট্রেইল ধরে হেটে একে একে নাপিত্তাছড়ার সবগুলা ঝর্না ঘুরে আবার নেমে গ্রামে চলে আসলাম, ঘড়িতে সকাল সাড়ে আটটা৷ রেললাইনের পাশে একটা ছোট খাবারের দোকানে ঢুকে পেলাম পুরি, পুরি আর চা খেয়ে কিছুক্ষন গল্পগুজব করে রেস্ট নিয়ে চলে এলাম আবার হাইওয়েতে৷
হাইওয়েতে এসে লেগুনায় চেপে চলে আসলাম বড় কমলদহ, ইটখোলার পাশের রাস্তা ধরে হাটা শুরু.... কমলদহ ঝর্না ঘুরে ঝিরিপথ ধরে উপরের
ঝর্ণা গুলাতে চলে গেলাম৷ যদিও পানি একটু কম ছিল বাট সবার উচ্ছাসের কোন কমতি ছিল না, প্রত্যেকটা ঝর্নায় গিয়ে সবাই মিলে ইচ্ছামতো ভিজেছি ছবি তুলেছি মজা করেছি৷ ঝর্ণা গুলা ঘুরে বড় দরগারহাট বাজারে আসতে আসতে ৩টার মতো বেজেছে, সেখানে লাঞ্চ করে ঢাকার বাসের টিকেট কাটলাম৷ ৫টার দিকে বাসে উঠে রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকায় পৌছে গেছি৷
আর এখন অপেক্ষায় আছি নেক্সট অ্যাডভেঞ্চারের...
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment