রাশ মেলার ডিটেইলস (সুন্দরবন)


সুন্দরবন


রাশ মেলা হয় ভরা পুর্নিমায়। জীবনে পুর্নিমাতো বহুবার দেখা হয়েছে, কিন্তু সুন্দরবন আর বঙ্গপসাগরের মিলন স্থলে বসে তা উপভোগের সৌভাগ্য কয়জনের হয়? আর দুবলার চরের রাশ মেলা দেখে সুন্দরবনের অন্যান্য প্রচলিত স্পটগুলোতেও যায় অনেকে। মেলাটি মুলত হিন্দুদের হলেও এখানে বন্দনা হয় গাজী কালুরও। তবে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহনের ফলে এটি আর শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব থাকেনা, পরিনত হয় সার্বজনিন একটি মেলায়। দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি এ মেলাকে করে তোলে প্রানবন্ত। 
অন্যান্য সময়ে শুধু পারমিশন পাওয়া টুরিস্ট লঞ্চগুলো সুন্দরবনে ঢুকতে পারলেও রাশ মেলা তার ব্যাতিক্রম। রাশ মেলায় সুন্দরবনে ঢুকতে পারে যে কোন নৌযান। তাই এই সময়ে সুন্দরবনে যাওয়া যায় বিভিন্ন মাধ্যমে। শুধু রাশে গেলে আপনার স্পট গুলো হতে পারে: দুবলার চর, আলোর কোল, হারবিড়ীয়া, করমজল। নাব্যতার উপর ডিপেন করে যাওয়া যেতে পারে হিরন পয়েন্টও। আর পারমিট করা জাহাজে গেলে যেতে পারবেন কটকাতেও।
বেশ কয়েকভাবেই রাশ মেলায় যাওয়া যায়

ভাল মানের টুর:

  • টুর অপারেটরদের প্যাকেজের মাধ্যমে যাওয়া: খুলনা ও মংলা থেকে বিভিন্ন টুর অপারেটররা প্যাকেজ করেন। তাদের মধ্যমে যেতে পারেন। মানের উপর ভিত্তি করে তিন দিনের থাকা খাওয়া ও সরকারী পাশ পারমিশন সহ এ টুরে আপনার খরচ হতে পারে ৭০০০-৯০০০ টাকা পর্যন্ত। অধিকাংশ অপারেটরই তাদের কোয়ালিটি মেনটেন করে। তবে মাঝে মাঝে তাদের কথার সাথে কাজের মিল না থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই আগে থেকে একটু খোঁজ খবর নিয়ে অপারেটর ফিক্স করাটাই ভালো। লোক সংখ্যা বেশি হলে শুধু আপনাদেরকেই একটি লঞ্চ দিয়ে প্যাকেজ করে দেবে তারা।
  •  বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপের ইভেন্ট: রাশ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বিভিন্ন ইভেন্ট হয়ে থাকে। সেগুলোর খরচও উপরে উল্লেখিত প্যাকেজের মতই। শুধু ঢাকা থেকে যাওয়া আসার খরচটা বাড়বে।
মাঝারি মানের টুর:


  • জালি বোটে করে যাওয়া: জালি বোট মানে জেলেদের বোট নয়। ফাইবার বডির সুন্দর ডেকরেশনের এক ধরনের বোট আছে, এগুলো অন্য সময়ে শুধু করমজন পর্যন্ত যায়। রাশ উপলক্ষে এরাও যায় দুবলার চর। এগুলোতে ভিতরে এক বেডে পাঁচজন শোয়ার ব্যবস্থা আছে। আর উপরে ছোফায় বসে সুন্দরবন দেখতে পারবেন আপনি। চাইলে রাতে শোবার সময় সাদে তাবু করে শুতে পারবেন আরো ৫ জন। লোক সংখ্যা আর খাবার মানের উপর ভিত্তি করে মোট ১০ জনের এ লঞ্চ গুলোর প্যাকেজে আপনার খরচ পরবে সর্বোচ্চ ৫০০০-৬০০০ টাকার মত। এটা সাধারনত স্টুডেন্টদের জন্য করা হয়। কেউ চাইলে এই বোট গুলো ভাড়া নিয়ে নিজেরাও খাবার এরেঞ্জ করতে পারবেন।
লোকাল মানের টুর:


  • ট্রলারে করে যাওয়া: জেলেদের ট্রলারগুলোও এ সময়ে ভাড়া পাওয়া যায়। ১৫-২০ জন ক্যাপাসিটির কাঠের এ ট্রলারগুলোতে করে গেলে পারহেড খরচ আসতে পারে ৩০০০-৪০০০ টাকার ভেতরে। এ ট্রলারগুলোও যে কেউ চাইলে ভাড়া নিয়ে নিজেরা খাবার এরেঞ্জ করতে পারবেনে।
লাক্সারিয়াস টুর:

আপনি চাইলে সম্পুর্ন এসি লঞ্চে রাশমেলায় সুন্দরবন ভ্রমন করতে পারেন। সে জন্যে আপনাকে গুনতে হতে পারে ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। ওদের খাবার মেনুও যথেস্ট ভালো।

বি: দ্র:
রাশের সময় সব লঞ্চই আগে থেকে বুকিং হয়ে যায়, এখনই অধিকাংশ লঞ্চ বুকিং হয়ে গেছে হয়ত। তাই সবগুলো অপশন পাবেন কিনা নিশ্চিত নয়। যে কোন ইনফোর জন্য ইনবক্স ঝাঝড়া করতে পারেন, অসুবিধা নাই। আর মংলাতে যে কোন ধরনের প্রবলেমে যোগাযোগ করতে পারেন।
কিছু তথ্য ভুল থাকলে বা এর বাইরেও আর কোন ইনফো থাকলে আমাকে জানালে এড করে দেবো। আর টাকার অংকগুলো কম বেশি হতে পারে।

রাশ মেলা হয় ভরা পুর্নিমায়। জীবনে পুর্নিমাতো বহুবার দেখা হয়েছে, কিন্তু সুন্দরবন আর বঙ্গপসাগরের মিলন স্থলে বসে তা উপভোগের সৌভাগ্য কয়জনের হয়? আর দুবলার চরের রাশ মেলা দেখে সুন্দরবনের অন্যান্য প্রচলিত স্পটগুলোতেও যায় অনেকে। মেলাটি মুলত হিন্দুদের হলেও এখানে বন্দনা হয় গাজী কালুরও। তবে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহনের ফলে এটি আর শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব থাকেনা, পরিনত হয় সার্বজনিন একটি মেলায়। দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি এ মেলাকে করে তোলে প্রানবন্ত।

Post a Comment

[blogger]

Author Name

{picture#https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1196479430442738} YOUR_PROFILE_DESCRIPTION {facebook#https://www.facebook.com/alwasikbillah} {twitter#https://twitter.com/awasikb} {google#https://plus.google.com/112469283873821392454} {instagram#https://www.instagram.com/awasikb}

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.