Latest Post


ট্রাভেল কার্ড কোনটি ভালো? 

EBL এর ট্রাভেল কার্ড নাকি SBI (স্টেটব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ) ট্রাভেল কার্ড?

আসুন বিস্তারিত বলছি...

অনেকে দেশের বাইরে ঘুরতে বা চিকিৎসার জন্য যান এবং যাওয়ার আগে ট্রাভেল কার্ড করে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন বা অনেকে করতে ইচ্ছুক কিন্তু কোন কার্ড তার জন্য ভালো হবে সেটা বুঝতে পারেন না, ফেসবুকে অনেকের অনেক মন্তব্য দেখে কনফিউজড হয়ে যান।

মূলত যাদের দেশের মধ্যে বুথ থেকে টাকা উঠানোর অভ্যাস আছে তারাই এই ট্রাভেল কার্ড করে থাকে তবে এর ব্যতিক্রমও অনেকে ব্যবহার করছে প্রতি নিয়ত। ট্রাভেল কার্ড এ আপনি সার্ক দেশ গুলোতে ৫০০০ ডলার পর্যন্ত লোড করে নিয়ে যেতে পারবেন এবং বিদেশে গিয়ে ওই কার্ড দিয়ে প্রায় সব যায়গাতে পেমেন্ট দিতে পারবেন যেমন শপিং মল, মেডিকেল শপ, হাসপাতাল, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোতে।

মূলত বাংলাদেশের টপ ব্যাংক গুলো এই কার্ড দিয়ে থাকে এবং ট্রাভেল কার্ড নিতে হলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক তারপর ২ কপি ছবি, ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর কপি ও টাকা নিয়ে গেলেই ৬০ মিনিটের মধ্যে ট্রাভেল কার্ড পেয়ে যাবেন।

যাইহোক আজকে দুটি ব্যাংকের ট্রাভেল কার্ড নিয়ে খুটিনাটি আলোচনা করবোঃ


SBI কার্ড


SBI কার্ড এর বৈশিষ্ট্যঃ

১। এই কার্ড এর মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত।
২। কার্ড টি করতে এক্সট্রা ১৪০০ টাকা ফি কেটে নিবে একবারই যা ৫ বছরের মধ্যে আর নিবে না।
৩। যে কোন পরিমান ডলার লোড দিতে আরো ২৩০ টাকা এক্সট্রা ফি কেটে নিবে। যত বার ডলার লোড দিবেন ততোবার ই ২৩০ টাকা কেটে নিবে।
৪। এই কার্ড ভারতের ভিসা লেখা সম্বলিত যে কোন বুথ থেকে রুপি উঠাতে পারবেন।
৫। এই কার্ড দিয়ে হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মলে বিল দিতে পারবেন।
৬। এই কার্ড করলে ভারতীয় ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন (যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট না দিতে পারেন)।

অসুবিধাঃ
১। এই কার্ড দিয়ে কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু বুকিং দিতে পারবেন না যেমন ট্রেন/এয়ার/হোটেল বুকিং করতে পারবেন না।
২। প্রতিবার ডলার লোড দিতে হলে কার্ড সাথে করে ব্যাংকে যেতে হবে এবং পাসপোর্ট বই, ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও ২ কপি ছবি নিয়ে যেতে হবে, নতুবা ডলার লোড দিবে না।
৩। প্রতিবার ডলার লোড দিতে ২৩০ টাকা অতিরিক্ত ফি হিসেবে কেটে নেই।
৪। এটি এম বুথ থেকে উত্তোলন করলে প্রতিবার ১ ডলার করে ফি কাটে

EBL কার্ড

EBL কার্ড এর বৈশিষ্ট্যঃ

১। এই কার্ড এর মেয়াদ ৩ বছর পর্যন্ত থাকে।
২। কার্ড টি করতে ৫৭৫ টাকা এক্সট্রা ফি কেটে নিবে যা ব্যাংকে ডিপোজিট স্লিপের মাধ্যমে জমা দিতে হয় এবং এই ফি ৩ বছরের জন্য একবার ই কেটে নিবে আর কখনো নিবে না।
৩। ভারত ও অন্যান্য দেশের ভিসা লেখা সম্বলিত এটি এম বুথ থেকে রুপি বা অন্য কারেন্সি উঠাতে পারবেন।
৪। এই কার্ড দিয়ে হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মলের বিল দিতে পারবেন।

অসুবিধাঃ

১। এটি এম বুথ থেকে উত্তোলন করলে ১ ডলার করে ফি কেটে নেই যা SBI এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

এক্সট্রা সুবিধাঃ

১। এই কার্ড দিয়ে বিশ্বের প্রায় নামিদামি সব ওয়েবসাইট থেকে এয়ার টিকিট/হোটেল বুকিং করতে পারবেন, কোন ঝামেলা ছাড়াই। এমনকি ভারতের রেলের টিকিটও করতে পারবেন যদি ট্রেনের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকে।
২। ডলার যে কেউ ব্যাংকে গিয়ে ডিপোজিট স্লিপ ফিলাপ করে লোড দিতে পারে।
৩। একবার e-commerce ট্রাঞ্জাকশন এক্টিভ করে নিলে ৩ বছরের মধ্যে আর করা লাগে না।
৪। ওয়েবসাইট থেকে কিছু ক্রয় করার সময় OTP মোবাইল ও ইমেইল উভয় সিস্টেমে আসে।

এবার আসুন ভিন্ন বিষয়ের পার্থক্য বলি

SBI কার্ড নিলে ৫ বছরে ১৪০০ টাকা এবং ধরে নিলাম প্রতি বছর ১ বার করে ভারত বা অন্য দেশে যাবেন তাহলে আরো ২৩০ *৫ = ১১৫০ টাকা, তাহলে ৫ বছরে খরচ হচ্ছে (১৪০০+১১৫০) = ২৫৫০ টাকা

তাহলে গড় হিসেব করলে প্রতি বছর কার্ড ফি বাবদ ৪৫০ টাকা করে কেটে নিচ্ছে।

EBL কার্ড নিলে ৩ বছরে ৫৭৫ টাকা খরচ হচ্ছে কিন্তু দুই বছর মেয়াদ কম দিচ্ছে, যদি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবারো করি সেক্ষেত্রে আরো ৫৭৫ টাকা লাগবে তাহলে ৬ বছরের জন্য লাগছে ১১৫০ টাকা।

তাহলে গড় হিসেব করলে প্রতি বছর কার্ড ফি বাবদ ১৯১.৬৬ টাকা করে কেটে নিচ্ছে।

মূলত ভারতের স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কার্ড করা হয়ে থাকে সিম্প্যাথির জন্য মানে ভিসা পেতে হয়তো সহজ হতে পারে যা সাইকো লজিক্যাল ভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ইফেক্ট পড়ে মানে ভিসা পেয়ে যাবে। কিন্তু অন্য ব্যাংক থেকে ট্রাভেল কার্ড করলেও আপনি ভিসা পাবেন।

মূলত ইন্ডিয়ার এম্বাসিগুলো স্টেটব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার শাখা থেকে কার্ড করার জন্য মানসিক ভাবে সাধারণ মানুষকে প্রেসার করে থাকে, যদিও সরাসরি কখনো বলে না যে এখান থেকেই করতে হবে। তাদের ডলারও সেল হলো, সেই সাথে কার্ড তো আছে এবং ব্যবসাও ভালো চললো। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে যে কেউ তাদের অনুকুলে যাবে এমন কাজ করবেই যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে, যেহেতু স্টেটব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ভারতীয় এম্বাসির নিয়ন্ত্রণকর্তা তাই তারা এই টুকু এক্সট্রা সুবিধা মানসিক ভাবে হিট করে নিয়ে চলছে।

মন্তব্যঃ 

যেহেতু অনেকেই ভারতে ঘুরতে যান আর যাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই তারা হয়তো SBI কার্ড করে নিতে পারেন কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে যদি ভিসা পেয়ে যান তাহলে ট্রাভেল কার্ড কোনটি করা উচিত তা এতোক্ষনে বিস্তারিত পড়ে বুঝে গেছেন।

ঘরে বসে বিশ্বের যে কোন এয়ারের টিকিট বুকিং দিন খুব সহজে। পেমেন্ট একদম সহজ বিকাশ বা রকেট দিয়ে আজই বুকিং করুন।

কিপ ট্রাভেলিং, স্টার্ট ব্যাকপ্যাকিং !



Tour on budget
Budget travel
Cheap places to travel
বাংলাদেশ
খবর

========================================================================


মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

দেবতাখুম
দেবতাখুম 

দেবতাখুম, বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলি (লিরাগাঁও) ইউনিয়নের অন্তর্গত তারাসা খালের পাড়ে অবস্থিত মারমা পাড়া যার নাম “শীলবান্ধ্যা”, এখান থেকে ২০-৩০ মিনিট এর পথ অতিক্রম করলেই  দেখা পাবেন দেবতাখুমের।

খুম একটি বম শব্দ। খুম মানে জলাধার। সেই হিসেবে দেবতাখুম অর্থ দাড়ায় দেবতাদের জলাধার। 
স্থানীয়দের মতে, প্রায় ৬০-১০০ ফুট গভীর এই খুমের দৈর্ঘ্য ৬০০ ফুট। 

কথিত আছে এই খুমে লুকিয়ে আছে বিশালাকার এক নাম না জানা প্রানী। স্থানীয় প্রবীনদের মধ্যে কেউ কেউ একে দেখেছেন বলেও দাবি করে থাকেন। এমন মিথগুলো কিন্তু ভ্রমনের আকর্ষন বাড়িয়ে দেয় বহুগুন।

বন্য পরিবেশে সত্যিকারের কায়াকিং এর অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে চলে যান দেবতাখুম, দুই পাশে খাড়া ১০০ ফিট পাহাড়ের (সিপ্পি পাহাড়) মাঝে ভেলায় ভাসতে ভাসতে চলে যান দেবতাখুমে। বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাফাখুম, ভেলাখুম, সাতভাইখুম, আমিয়াখুমের মতই বিশাল বিশাল পাথরখন্ড এবং পাহাড়ের ভাজে আরেকটি খুমের স্বর্গরাজ্য হল দেবতাখুম। আপনি বান্দরবানের যতই ভিতরে যাবেন ততই এর বুনো সৌন্দরয্যে মুগ্ধ হবেন।

আমাদের ট্যুর প্ল্যান ছিল প্রথমদিন রোয়াংছড়ির শীলবান্ধ্যা পাড়ায় তাবুতে রাত্রিযাপন এবং পরেরদিন দেবতাখুমের ভিতরে ভেলায় ভাসতে ভাসতে এর আশেপাশের সৌন্দরয্য অবলোকন। যথারিতি আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বান্দরবানের বাসে করে, কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারী হওয়াতে ঐদিন প্রচুর ভিড় ছিল বাসস্ট্যান্ডে, তাই আমাদের অন্য একটি বাস রিজার্ভ করে ঊঠে পড়ি।

অতিরিক্ত জ্যামের কারনে আমাদের বান্দরবান পৌঁছাতে ৩ ঘন্টার বেশী লেগেছিল। দুপুর ১২ টার পর বান্দরবানে পৌঁছে আমরা টমটম রিজার্ভ করে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে রোয়াংছড়ির বাসে উঠি, আমাদের ১জন ট্যুর মেম্বার আমাদের জন্য আগে থেকেই বান্দরবানে অপেক্ষা করছিলেন, আমাদের দেরী হওয়াতে উনি রাতের খাবারের জন্য মুরগী আর স্টোভের চুলা কিনে রেখেছিলেন।

বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিটের মতো। আমরা রোয়াংছড়ি বাজারের একটু আগে গোলঘর নামে একটি জায়গায় বাস থেকে নেমে যাই। ওখানে আমাদের জন্য সিএনজি অপেক্ষা করছিল, সেখান থেকে আমাদের গন্তব্য ছিল কচ্ছপতলি গ্রাম। কচ্ছপতলি গ্রামে নেমে আমরা বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ দুপুরের খাবার খেয়ে নিই(ভাত, আলুভর্তা আর মুরগী)। সকালে নাস্তার পর তেমন কিছুই না খাওয়াতে প্রচুর ক্ষুধার্ত ছিলাম তাই সব কিছুই অমৃত লাগছিল। যদিও খাবার টেস্ট ছিল, পাহাড়িদের রান্না এমনিতেই অনেক মজার হয়। পাহাড়ে খুব দ্রুত সন্ধ্যা হয় তাই আমরা বিকাল ৪টায়  গাইড নিয়ে(আমাদের গাইড আগে থেকে ঠিক করা ছিল) দ্রুত ট্রেকিং এর জন্য বেড়িয়ে পড়লাম। প্রায় ঘন্টাখানেকের উচু-নীচু পাহাড়ি পথে ট্রেকের পর আমরা তারাসা খালের অন্তর্গত শীলবান্ধ্যা পাড়ায় পৌঁছুলাম। ট্রেকিংটা খুব একটা কঠিন ছিলনা। প্রথমে একটু খাড়া পাহাড় পরে এরপর প্রায় সমান রাস্তা।
দেবতাখুম
দেবতাখুম 

শীলবান্ধ্যা পাড়াটা অনেক সুন্দর,পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন গ্রাম,এটা মারমা পাড়া। মানুষজনও অনেক ভালো। সেখানে হালকা চা-নাস্তা সেড়ে আমরা একটু সামনে নিচে গিয়ে তারাসা খালের পাশে আমাদের ক্যাম্পসাইট প্রস্তুত করে নিই। তাবু ঠিক করতে করতে সন্ধ্যা নেমে আসে। এরপর চলে রাতের খাবারের প্রস্তুতি। সবাই যে যার যার কাজ (লাকড়ি কুড়ানো, পানি আনা, মসলা তৈরি করা, সালাদ কাটা, গোস্ত পরিষ্কার করা ইত্যাদি) ভাগ করে নেই। সবাই অনেক আনন্দ নিয়েই আমাদের ভ্রমণটাকে উপভোগ করতে থাকি। স্টোভের চুলা থাকলেও আমরা আশেপাশের লাকড়ী দিয়ে ৩টা বড় বড় পাথরখন্ড দিয়ে লাকড়ির চুলা বানিয়েছিলাম (লাকড়ির চুলায় রান্না করা খাবার অসাধারণ মজার)। রাতের খাবারে আমাদের মেন্যু ছিল চিকেন বিরানি, ডিম আর গ্রেভি সালাদ।

রাতের খাবারের পর ছিল ক্যাম্পফায়ার, আড্ডা আর কারাওকেতে গান, সাথে ছিল পূর্ণিমার চাঁদ যেন সোনায় সোহাগা। পূর্ণিমার চাঁদ,আকাশের অজস্র তারার আলোর ঝলকানি আর তারাসা খালের সৌন্দরয্য জীবনের খাতায় লিখে রাখার মতোই একটি সোনালী রাত। সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম টেরই পেলামনা।
লাকড়ির চুলায় রান্না
লাকড়ির চুলায় রান্না
পরদিন খুব সকালে পাখির ডাক আর তারাসা খালের পানির ঝুমঝুমানি আওয়াজে ঘুম থেকে উঠলাম। পাহাড়ে সকালের সৌন্দরয্য অনিন্দ্যসুন্দর। রাতের খাবারের বেচে যাওয়া অনেকটা অংশ দিয়ে সকালে নাস্তা সাড়লাম। এরপর চলল হিমশীতল পরিবেশে গরম ধোঁয়া উঠা ইনস্ট্যান্ট কফি। উফফ জীবনটা আসলেই কত সুন্দর!!!
ক্যাম্পসাইট
ক্যাম্পসাইট
ক্যাম্পসাইট ঘুছিয়ে আমাদের ব্যাগপ্যাক শীলবান্ধা পাড়ায় একটি ঘরে রেখে আমাদের যাত্রা শুরু হলো দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে। পাহারি ঝিরি, পাথরের সাম্রজ্য, উচু-নীচু পথ পেড়িয়ে ২০মিনিট পর পৌঁছুলাম দেবতাখুমে। আমরা আগে থেকেই ভেলা ঠিক করে রেখেছিলাম, সবাই যার যার পছন্দমতো সাথী নিয়ে ভেলায় (১ভেলায় ২জন) ভাসতে শুরু করলাম।

ভেলায় নামার আগে লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিবেন। প্রায় ৬০-১০০ ফুট গভীর এই খুমের দৈর্ঘ্য, পাহাড়গুলোর উচ্চতা ৬০০ ফুট। তাই আপনাকে লাইফ জ্যাকেট সাথে রাখার অনুরোধ রাখলো। কথিত আছে এই খুমে লুকিয়ে আছে বিশালাকার এক নাম না জানা প্রানী। স্থানীর প্রবীনদের মধ্যে কেউ কেউ একে দেখেছেন বলেও দাবি করে থাকেন। এমন মিথগুলো কিন্তু ভ্রমনের আকর্ষন বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। দেবতাখুমের পানি অসম্ভব পরিষ্কার, সবুজাভ-নীল।দেবতা খুমে আসার ঠিক আগেই ছোট্ট একটা খুম আছে যেটার স্থানীয় নাম “পং সু আং খুম”। এই খুমে সাতার কেটে বা খুমের সাথের নব্বই ডিগ্রী এংগেলের দেয়ালের সাথে লেগে থাকা গাছের শিকড় ধরে টারজানের মত ঝুলে ঝুলে আসতে হয় দেবতাখুমে।

সত্যিকারের কায়াকিং-এর অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আসতে হবে এই দেবতাখুমে। ছোট-বড় পাথরকে পাশ কাঁটিয়ে আপনাকে ভিতরে যেতে হবে। যতই ভিতরে যাবেন ততই অন্ধকার হতে থাকবে আর পানির রঙ ততই সবুজ থেকে নীল হবে, সূর্যের আলো খুব একটা ভেতরে আসেনা।দেবতাখুম আসলেই খুমের স্বর্গরাজ্য। আমরা ঘন্টা দেড়েকের মতো খুমের ভিতরে ছিলাম।

কিভাবে যাবেনঃ

দেবতাখুম যাওয়ার রুট
ঢাকা > চট্টগ্রাম > বান্দরবান > রোয়াংছড়ি > কচ্ছপতলি > শীলবান্ধ্যা গ্রাম > দেবতাখুম

আরও বিশদ ভাবে বললে, ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান যেতে হবে, তারপর বান্দরবন শহর থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আসতে হবে। বাস/চাঁদের গাড়ি/সি এন জি/ মটর সাইকেলে করে রোয়াংছড়ি (৪০-৫০ মিনিটের পথ) জনপ্রতি বাস ভাড়া ৬০ টাকা আর সি ন জি রিসার্ভ নিলে ৫০০ টাকা।

সেখান থেকে গাইড নিয়ে কচ্ছপতলী আসতে হবে। সি এন জি/ মটর সাইকেলে কচ্ছপতলী বাজার (৩০ মিনিটের পথ)। তারপর পায়ে ঘন্টা দেড়েক হাটলেই দেবতাখুম। গাইড ৫০০-১০০০ টাকা নিবে। রোয়াংছড়ি পরে কচ্ছপতলী। সেক্ষেত্রে সি ন জি নিলে সরাসরি কচ্ছপতলী চলে আসাই উত্তম। আর যদি বাসে আসেন তাহলে রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী সি ন জি যায়। জনপ্রতি ৬০ টাকা নিবে আর রিসার্ভ নিলে ৩০০ টাকা। যেতে সময় লাগবে আধ ঘণ্টার মত।

কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে রওনা দেন শিলবান্ধা পাড়ার দিকে। যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মত। দুই ভাবে যেতে পারবেন।

  1. পাহাড় দিয়ে
  2. তারাসা খাল দিয়ে

যাওয়ার সময় ঝিরি পথে গিয়ে আর আসার সময় পাহাড় দিয়ে আসলে ২টি পথই দেখা যায়।

যাওয়ার পথ কিন্তু একেবারে সহজ না। শীলবান্ধ্যা গিয়ে ১৫ মিনিট হাঁটলেই প্রথমে পং সু আং কুম পার হতে হবে। পং সু আং কুম পার হওয়ার পর দেবতাকুমের শুরু। শেষের দিকে রাস্তা ভয়াবহ ভাবে বিপদজনক। শ্যাওলা ভরা খাড়া পাথর দিয়ে গাছের শেকড় ধরে প্রায় ঝুলে ঝুলে যেতে হয়। হাত ফোঁসকে পড়ে গেলে সাঁতার না জানলে গভীর জলে ডুবে বা পাথরে মাথা ফেটে মৃত্যুর সম্ভাবনা ও আছে। তাই পরামর্শ দিবো নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যেতে পারেন। শিলবান্ধার আশে-পাশে ঘুরলে ছোট বড় ৫-৬টা ঝর্ণা পাবেন। শিলবান্ধা থেকে সাথে গাইড নিয়ে নিন। ভেলা বানাতে আর ঘুরে আসতে গাইড সাহায্য করবে। থাকলে রান্না করার মানুষ গাইড ঠিক করে দিবে। পুরো দেবতাখুম ঘুরে আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগবে। দেবতাখুমের পর স্বর্ণকুম শুরু। স্বর্ণকুমের মুখে থাকতে হলে তাবু নিয়ে যাওয়ায় শ্রেয়। রান্না করার সবকিছু সাথেই নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেএে পরেরদিন ভোরে হাঁটা দিলে ঐ দিনে বান্দরবান পৌঁছে যেতে পারবে।

খরচঃ 

ঢাকা-বান্দরবান = ৬০০/-(বাস নন এসি)
চট্টগ্রাম-বান্দরবান = ১২০/-(বাস)
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ড = ৭০/- (টমটম রিজার্ভ) অথবা বান্দরবান-রোয়াংছড়ি= ৬০/- (বাস)
রোয়াংছড়ি-কচ্ছপতলি = ৬০/- (সিএনজি জনপ্রতি)
ভেলা খরচ = ১০০/- (জনপ্রতি)
গাইড = ৫০০/-

প্রয়োজনীয় কিছু তথ্যঃ

  • কচ্ছপতলীতে গিয়ে গাইডসহ আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হবে।(কচ্ছপতলী আর্মিক্যাম্পে আমরা ভূল বশত এন্ট্রি করিনাই, যেকারনে আমরা ক্যাম্পিং করতে পেরেছিলাম, পরেরদিন ফেরারপথে শুনলাম যে শীলবান্ধায় নাকি আর্মিরা থাকার অনুমতি দেয় না, তাই আপনারা অবশ্যই গাইডের সাথে আগে থেকেই কথা বলে নেবেন)
  • দেবতাখুমে ঘুরার জন্য ভেলার ব্যাপারে গাইডকে আগেই বলে রাখা উত্তম।
  • দেবতাখুম যাওয়ার পথে শীলবান্ধা ঝর্না নামে একটা ঝর্না পাবেন। যাওয়ার পথে ঝর্নাটা দেখে যেতে ভুলবেন না।
  • বর্ষাকালেই খুমের আসল সৌন্দর্য দেখা যায়। তবে শীলবান্ধা ঝর্নার পরের ট্র্যাকিং টা খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে কারন ঝিরিপথ খুবই পিচ্ছিল থাকে। তাই এই ব্যাপারে আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা ভালো।
  • রোয়াংছড়ি থেকে বান্দরবানের শেষ বাস ছাড়ে বিকাল ৫ টায়, তাই যত সম্ভব বিকাল ৫ টার আগেই রোয়াংছড়ি চলে আসবেন।
  • লাইফ জ্যাকেট সাথে রাখা অবশ্যম্ভাবী।
  • ভোটার আইডির ফটোকপি অবশ্যই সাথে রাখবেন।
  • গাইড কচ্ছপতলি থেকে ঠিক করতে হবে, গাইডের সাথে আগে থেকেই কথা বলে রাখবেন ভেলা এবং দুপুরের খাবার আর গাইড খরচের ব্যপারে।

আপনাদের সুবিধার জন্য আমি আরও একটি ভ্রমন কাহিনি এখানে উল্লেখ করে দিচ্ছি, যার পুরাটা ক্রেডিট দিচ্ছি Hasan Imam ভাই কে। তো চলুন জেনে নেই...

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............

আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।

বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।

এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।

বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।

বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।

কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।

শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।

বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।

খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।

পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?

খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।

এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।

সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!

যেভাবে এসেছিলেন ঠিক সেভাবে ফিরে যান বান্দরবন শহরে। রাতের বাসে ফিরে আসুন ঢাকায়।

আসুন, এবার দেখে নিই কতো খরচ হলো আপনার।
বাস ভাড়া: ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা
বাস পথিমধ্যে বিরতিতে খাবার খরচ: ১৫০+১৫০=৩০০ টাকা
বান্দরবন থেকে রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ড: ১০+১০=২০ টাকা
সকালের নাস্তা: ৩০+৫০=৮০ টাকা
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
দুপুরের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
রাত্রের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
ভেলা: ১০০ টাকা
গাইড: ১০০০/৪=২৫০ টাকা

সর্বমোট ৩০৩০ টাকা!যেভাবে এসেছিলেন ঠিক সেভাবে ফিরে যান বান্দরবন শহরে। রাতের বাসে ফিরে আসুন ঢাকায়।

আসুন, এবার দেখে নিই কতো খরচ হলো আপনার।
বাস ভাড়া: ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা
বাস পথিমধ্যে বিরতিতে খাবার খরচ: ১৫০+১৫০=৩০০ টাকা
বান্দরবন থেকে রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ড: ১০+১০=২০ টাকা
সকালের নাস্তা: ৩০+৫০=৮০ টাকা
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
দুপুরের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
রাত্রের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
ভেলা: ১০০ টাকা
গাইড: ১০০০/৪=২৫০ টাকা
সর্বমোট ৩০৩০ টাকা!


অবশেষে একটা কথা মনে রাখবেন,


ঘুরতে যেয়ে পদচিহ্ন ছাড়া কিছু ফেলে আসবো না
ছবি আর স্মৃতি ছাড়া কিছু নিয়ে আসবো না

Happy Traveling

Tour on budget
Budget travel
Cheap places to travel
বাংলাদেশ
খবর

========================================================================

মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

Author Name

{picture#https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1196479430442738} YOUR_PROFILE_DESCRIPTION {facebook#https://www.facebook.com/alwasikbillah} {twitter#https://twitter.com/awasikb} {google#https://plus.google.com/112469283873821392454} {instagram#https://www.instagram.com/awasikb}

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.