সন্দ্বীপে ক্যাম্পিং |
সন্দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মেঘনা নদীর মোহনায় প্রায় ৭৬০বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশের চট্রগ্রাম জেলার অত্যন্ত প্রাচীন একটি দ্বীপ। চতুর্দিকে সাগর নদী নিয়ে এই দ্বীপের ভ্রমণ মনে রাখার মত হবে। যদি তা হয় তাবুতে রাত্রিবাস তাহলে তো কথাই নেই।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন বাসে উঠে নেমে যেতে হবে কুমিরা, সেখান থেকে অটো রিক্সা কিংবা সিএনজি দিয়ে কুমিরা সন্দ্বীপ ঘাটে। সন্দ্বীপ যাওয়ার জন্যে স্পিডবোট ও ছোট লঞ্চ আছে। সময় বাঁচাতে ও মজার অভিজ্ঞতার জন্যে স্পিডবোটে যাওয়াটাই ভালো মনে হয় আমার কাছে। স্পিডবোট ভাড়া জনপ্রতি ৩০০টাকা। যদি হোটেলে থাকতে চান তবে সন্দ্বীপ ঘাট (গুপ্তছড়া ঘাট) থেকে চলে যাবেন টাউন কমপ্লেক্সে। ক্যাম্পিং এর জন্যে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হলো সন্দ্বীপের পশ্চিম দিকে (রহমতপুর) নদী ঘেঁষে। সন্দ্বীপ ঘাটে নেমে সিএনজি (ভাড়া ২৫০-৩০০টাকা) দিয়ে চলে যেতে পারেন সন্দ্বীপের একেবারে পশ্চিম পাড়ে।
খরচঃ
কম খরচ করতে চাইলে ৪-৫জনের টিমের জন্যে জনপ্রতি ৩০০০টাকার ভিতর হয়ে যাবার কথা। যদি ঢাকা থেকে যান।
নোটঃ
- ছোট ছোট মিষ্টি পাওয়া যায় বাজারে,গরম গরম খেতে অনেক মজা।
- সাইকেল ভাড়া নিয়ে ঘুরতে পারেন আশেপাশে। অল্প সময়ে আরামে কোন একটা এলাকা ঘুরে দেখার জন্যে বেস্ট অপশন।
- রিক্সা বা অন্যান্য বাহনের ভাড়া একটু বেশি মনে হতে পারে, দরদাম করে নিবেন।
- শীতের সময় খেজুরের রস পাওয়া গেলে না খাওয়াটা বোকামি হবে। আশেপাশেই খোঁজ করলেই পাবেন। গাছ থেকে সদ্য নামানো রসের মজাই আলাদা।
- খেজুরের রসের ফিন্নি/পায়েস যদি সম্ভব হয়ে কোথাও খেয়ে দেখতে পারবেন, স্বাদ ভুলবেন না কখনো নিশ্চিত।
- যদি সম্ভব হয় স্থানীয়দের প্রিয় ঘন খেজুরের মিঠাই এর সাথে কোড়ানো নাড়িকেল আর খোলাজা পিঠা খেয়ে আসবেন। জীবনে এত মজার নাস্তা কমই করেছি।
পরিশেষেঃ যেখানেই যান পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন, স্থানীয়দের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করুন। হ্যাপি ট্রাভেলিং।
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment