নাফাখুম |
সবুজপাহাড়ী বন আর পাথুরেভুমির মাঝে নাফাখুম এইঅঞ্চলটি অসাধারন স্বপ্নময় সুন্দর স্থান। আমাদের দেশেই এত সুন্দর জায়গাআছে তা নিজের চোখেনা দেখলে বিশ্বাস হবে না।
- ঢাকা থেকে কিভাবে যাওয়া যায়?
- যাতায়াত ভাড়া কেমন পরবে?
- রাতে থাকার ব্যবস্থা কোথায়,কিভাবে, খরচ?
- খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা আর খরচ?
- টিপস ..
ঢাকা থেকে বান্দরবান যায় এমন প্রায় ১০/১২ টা পরিবহন আছে। সব থেকে ভালো সার্ভিস পাবেন শ্যামলী পরিবহন এবং হানিফ পরিবহন এ। এছাড়াও সেন্টমারটিন সারভিস,ডলফিন,শান্তি,ইউনিক,এস আলম সহ আরো কিছু বাস সার্ভিস আছে। এসি সার্ভিসের মধ্যে শ্যমলী আর সেন্টমারটিন পরিবহন বাকী সব নন এসি বাস। নন এসি বাস ভাড়া জন প্রতি ৬২০/- আর এসি বাস ভাড়া৯৫০ /- টাকা। বান্দরবান বাস স্ট্যান্ড থাকে থানচিবাজার বাস স্ট্যান্ড যাবেন অটোতে করে জনপ্রতি ১০ - ২০ টাকা নিবে।
যেভাবে যেতে হবে:
ঢাকাথেকে রাত ১০:৩০টায় বিভিন্ন সার্ভিসের বাস বান্দরবনের উদ্দেশ্যেছেড়ে যায় এবং সকাল৭:৩০ এর মধ্যে বান্দরবন পৌছে যায়। নাফাখুম ভ্রমনের পথ হবেঃ বান্দবন- থানচি - তিন্দু - রেমাক্রী - নাফাখুম।
বান্দরবন থেকে থানচি:
থানচি বান্দরবনের সর্বদক্ষিণের উপজেলা। শঙ্খ (স্থানীয় ভাষায় সাঙ্গু) নদীর তীরে অবস্থিতএটি। বান্দরবান শহর থেকে এরদূরত্ব ৮২ কিঃমিঃ। রিজার্ভচাঁদের গাড়ীতে বান্দরবান থেকে থানচি যেতেসময় লাগবে প্রায় ৪ ঘন্টা, পর্যটনমৌসুমে ভাড়া নেবে ৪.৫ থেকে ৫ হাজার টাকা । পথেচিম্বুক আর নীলগিরিতে নেমেকিছু ছবি তোলার ইচ্ছেথাকলে সময় কিছুটা বেশীলেগে যেতে পারে। বাসেওযেতে পারেন, ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১৯০ টাকা ।পাবলিক বাস বলিপাড়ায় কিছুক্ষনযাত্রা বিরতি দিয়ে থেকে। মোট সময় লাগবেপ্রায় ৫ ঘন্টা। বাসছাড়ার সময় - বান্দরবন থেকে সকাল ৮টা,১০.৩০টা, ১২.৩০ এবং২.৩০ এবং থানচিথেকে সকাল ৮টা, ১০টা,১২টা, ২টা।
থানচি হতে রেমাক্রী:
থানচি থেকে নৌপথে আপনাকে পৌছতে হবে রেমাক্রী। থানচিঘাটে হতে নৌকা ভাড়া নিতে হবে এবং সাথে অবশ্যই নিতে হবে গাইড সমিতির তালিকাভুক্ত একজন গাইড। গাইড সমিতির সেবা মূল্য ১০০ টাকা এবং থানচি হতে নাফাখুম পর্যন্ত গাইডকে দিতে হবে ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা।
থানচিতে বিজিবি চেক পোস্ট রয়েছে,অত্র পাহাড়ি অঞ্চলে ভ্রমনের আগে এখানে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে। সাদা কাগজে সব টুরিষ্টদের নাম,ঠিকানা, পিতার নাম, ফোন নাম্বার,মাঝির নাম, গাইডের নামও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ইত্যাদি জমা দিয়ে নাফাখুম যাবার অনুমতি নিতে হবে। থানচি বাজারে দুপুরের খাওয়া ও প্রয়োজনীয় কিছুকেনার থাকলে শেষ করে নৌকায় উঠে পড়ুন।
বর্ষায় ইঞ্জিনবোটে থানচি থেকে তিন্দু যেতে সময় লাগবে দুই ঘন্টা। তিন্দু থেকে রেমাক্রি যেতে লাগবে আরও দুই ঘন্টার কিছু কম । বর্ষা মৌসুমে তিন দিনের জন্য ইঞ্জিনবোটের ভাড়া পড়বে ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা। একটা বোটে ৫ থেকে ৭ জন বসতে পারে।
শীতের সময় ইঞ্জিন বোট চলার মত নদীতে যথেষ্ট গভীরতা থাকে না। তখন ঠ্যালা নৌকাই একমাত্র বাহন। ঠ্যালা-নৌকার ভাড়া পড়বে প্রতি দিনের জন্য ১০০০ টাকা।শুষ্ক মৌসুমে পানির গভীরতা না থাকায় কয়েক বার নৌকা থেকে নেমে যেতে হয়।
থানচি থেকে বড় সাইজের পলিথিন(পিস ১০-১৫ টাকা)এবং রশি কিনে নেবেন।পলিথিনে আপনাদের ব্যাগগুলা ঢেকে নিবেন যাতেপানি না লাগে। লাইফ জ্যাকেট নিবেন। এখানে প্রকৃতি অভাবনীয় সুন্দর আর নির্মল। নদীরদুপাশে পাথুরে পাহাড়। কোন কোন পাহাড়এতই উচু যে তারচূড়া মেঘে ঢেকে আছে।সবুজে ঘেরা এই পার্বত্যঅঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখতে পাবেন দু একটি উপজাতি বাড়িঘর।
কখনো নদী গুলোর গভীরতা এতই কম যে পানির নিচে পাথর দেখাযায়। কোথাও বা নদীর মাঝেইউচু হয়ে আছে বিশালবিশাল পাথর। যেখানে নদী ঢালু হয়েগেছে সেখানে প্রচন্ড স্রোত। গমগম করে নেমেযাচ্ছে পানির ঢল। এমন জায়গায় নৌকা প্রায় চলতেই পারে না। তাই নেমে হেটে যেতে হয়।যাত্রা পথে এমন ভাবে বেশ কয়েকবার নেমে হেটে যেতেহয়।
তিন্দুতে একটি বিজিবি ক্যাম্প আছে। নাফাখুম যাবার পথে থানচি না থেকে তিন্দুতে এসে রাত্রিযাপন করতে পারেন। এখানে থাকার জন্য কিছু ঘরভাড়া পাওয়া যায়।
তিন্দুহতে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই বড় পাথর। স্থানীয়রা একে রাজা পাথরও বলে থাকে এবং তারা বিশ্বাসকরে যে এই রাজা পাথরকে সম্মান দেখাতে হয়, নতুবা দুর্ঘটনা ঘটে। এখানেও শীত মৌসুমে নেমে হেটে যেতে হয়। এখানে বিশাল আকারের পাথর সহ ছোটবড় অনেক পাথর নদীর মাঝে পড়ে আছে। ধারনাকরা হয় বহু বছরআগে ভুমিকম্পের কারনে পাথুরে পাহাড় হতে এই বিশাল আকারের পাথরের টুকরো গুলো নদীর মাঝখানে এসে পড়েছে, আর নদের আয়তন কমে এখানে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে।
রেমাক্রী বাজারের পৌছার কিছুটা আগে ছোট একটা জলপ্রপাত আছে, নাম রেমাক্রীখুম।প্রায় ৪/৫ ফুট উচু হতে ধাপে ধাপে পানি সাঙ্গু নদীতে পরছে। এসব দৃশ্য দেখে আপনার বুকটা গর্বে ভরে যাবে আর মনে হবে এই আমার মাতৃভূমি, আমার বাংলাদেশ। আসলে কষ্টকর এই নদী ভ্রমনটানা থাকলে নাফাখুম দর্শনটা একেবারেই সাধামাটা হয়ে যেত। রেমাক্রী পৌছানোটাই মূল উদ্দেশ্য না,বরং নৌপথের রোমাঞ্চকর এই ভ্রমনটাই জীবনেরঅসাধারন স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
রেমাক্রীহতে নাফাখুম:
রেমাক্রীহতে নাফাখুম পর্যন্ত আর কোন বাহন আপনি পাবেন না। ওই পথটা আপনাকে হেটে যেতে হবে। নাফাখুমে রওনা হওয়ার পূর্বে আবারও আপনাকে নাম ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প হতে অনুমতি নিতে হবে।
রেমাক্রী বাজার হতে নদীর কুলঘেষে প্রায় ২/৩ ঘন্টাহেটে পৌছবেন নাফাখুম। নদীর তীরটা পাথুরে, এখানে জনবসতি একেবারেই কম, মাঝে মাঝে দু একজন উপজাতীদেরকে মাছ ধরতে দেখা যায়। এইপথে বেশ কয়েক বারবুক সমান গভীর নদীপার হতে হয়।
দীর্ঘপথ পারী দিয়ে নাফাখুমপৌছবেন, ক্লান্ত পা ঝর্ণার পানিতে ভেজানোর সাথে সাথে সবক্লান্তি দুর হয়ে যাবে নিমিষেই।
কোথায় থাকবেন:
খাওয়া থাকার ব্যাপারে গাইড আপনাকে সাহায্য করবে। থানচিতে থাকার জন্য একটি সরকারী রেষ্টহাউজ আছে। কিন্তু থানচিতে রাতে না থাকাটাই উত্তম, অযথা টাকা খরচ। আপনি সরাসরি রেমাক্রীচলে যান, রেমাক্রী বাজারটা খুবই ছোট। বাজারের মাঝখানে বিশাল একটা উঠান আর চারদিকে দোকান। পেছনে থাকার ব্যবস্থা আর সামনে দোকান। আর তার পাশেই আছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। রাতে রেমাক্রীতে বাজারে থাকতে পারেন। রেমাক্রি চেয়ারম্যানের একটা রেস্ট হাউজ আছে, জনপ্রতি ১০০ থেকে ১২০। টাকা তাছাড়া মারমাদের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতেই খুব অল্প টাকায় থাকা-খাওয়ার সুবিধা রয়েছে। খাওয়ার খরচ পরবে জনপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
অবশ্য পালনীয় কর্তব্য:
১) ভালো, মজবুত ব্যকপ্যাক নিবেন। হাতব্যাগ/ লাগেজ এসব চলবেনা, চলবে না¸ চলবে না।
২) পুরো টুরে নিজের ব্যাগ নিজের কাধে রাখতে হবে। পাহাড়ে ওঠার সময় মেকাপবক্স/ পারফিউম ইত্যাদি ফেলে দিতে হবে ওজন কমাতে। অতএব, কাপড় মাত্র ২ সেট নিবেন। অন্যান্য জিনিস যাই নিবেনভেবে নিবেন। অযথা ব্যাগ ভারী করলে পরে কাঁদতে হবে।
৩) ভালো, মজবুত স্যান্ডেল নিবেন। মাটিতে ভালো গ্রীপ করে, পিছলে যায় না এমন স্যান্ডেলনিবেন।
৪) সঙ্গে সবসময় আধা/এক লিটার পানি, সামান্য কিছু হাল্কা খাবাররাখবেন।
৫) কলার পটাশিয়াম পেশির জন্য উপকারী। পাহাড়ে উঠলে পেশির উপরঅনেক চাপ পরে। অতএব, বান্দরবন গেলে বান্দরের মত কলা খাবেন।
৬) বেশি স্যালাইন খেলে রক্তচাপ বাড়ে, ঘাম বাড়ে ফলে আরও বেশিপানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়। অতএব, সারাদিন চলার পথে বেশি স্যালাইন খাবেন না। পানি খাবেন। অনেক তৃষ্ণা পেলেও একবারেবেশি পানি খাবেন না। হটাত পেট ভারী হয়ে গেলে হাঁটতে পারবেন না।
৭) মশা প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই Ododmos লোশন নিবেন।
৮) হাটার সময় ফুটবলারদের মত আংলেট, নী-ক্যাপ পড়বেন।
৯) টর্চ নিবেন। কম কম জ্বালাবেন। চার্জ শেষ হলে চার্জ দেয়াঝামেলা।
১০) প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। অবশ্যই, অবশ্যই। যত দেরিতে রওনা হবেন, রোদে তত বেশি কষ্ট হবে। অলস কেউ থাকলে তাঁকে কক্সবাজারপাঠিয়ে দিন। বান্দরবন তার জন্য না।
১১) জোঁকের জন্য সবার সঙ্গে সামান্য লবন রাখবেন। জোঁক লাগলেই অযথা চেঁচামেচিনা করে আপনার পাশে জনকে লবন দিতে বলুন। জোঁক মরে যাবে।
১২) দল ১০ জনের হলে ৫ জনের ২ টা দলে হাঁটবেন। কেও যেন দলছাড়া না হয়েযায়।
১৩) ক্যাপ নিতে পারেন।
১৪) রেইনকোট নিবেন (বর্ষা কালে জন্য )।
১৫) ব্যাকপ্যাক কাভার নিবেন সবাই। বা সকল জিনিস বড় পলিথিনেভরে তারপর ব্যাকপ্যাকে ভরবেন।
১৬) জ্বর, পেই কিলার,আমাশা, গ্যাস্ট্রিক, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেটইত্যাদি নিবেন।
এবং দয়া করে
* স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন, অনকে সম্মান এবং সুবিধা পাবেন।
* প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানোর সময় অনুগ্রহ পূর্বক পলিথিন জাতিয় আবর্জনা (স্যালাইনের প্যাকেট, চকলেটের প্যাকেট, বিস্কিট, মুড়ি চানাচুড়ের প্যাকেট ),সিগারেট এর ফিলটার ইত্যাদি ফেলে প্রকৃতির ক্ষতি করবেন না।
## পার্বত্য অঞ্চলের সব জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই। থানচি পর্যন্ত টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাবেন। তিন্দুতে বাঁশের এ্যন্টেনা লাগানো সেট থেকে হয়ত যোগাযোগ করতে পারবেন। কিন্তু রেমাক্রি পৌঁছালে আপনি একেবারেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।
আরও তথ্যের জন্য নিচের পোস্ট টি পড়ুন...
২৯/১১/২০১৬-রাতে আমরা আমাদের ৫ জনের একটি দল নিয়ে কলাবাগান থেকে বান্দরবনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি।
বাস-shamoli poribahan (Non-AC)
Departing time- 23:00
Per ticket - 620 tk
৩০/১১/২০১৬- প্রথম দিন
* বান্দরবন বাসস্ট্যান্ডে নামি সকাল 7:30 এর দিকে। সেখানে hotel Hill view তে নাস্তা করি। 350 tk র মত নাস্তার বিল হয়েছিল। চান্দেরগাড়ি ঠিক করাই ছিল। 8:30 এ যাত্রা শুর করলাম থাঞ্ছির উদ্দেশে। পথে চিম্বুক, নীলগিরিতে নেমে কিছুটা সময় ছিলাম। থাঞ্ছিতে সীমান্ত অবকাশে পৌছাই 3:30 এর দিকে। বিকাল আর রাতে ওইখানেই ছিলাম। পাহাড়ের উপর থাকে সূর্যাস্তটা ছিল অদ্ভুত সুন্দর। বুকিং করে যাবেন।
Contact no: 01550553997
Per night cost : 2000 tk+500 tk (2+1)
3500 tk (VIP)
Meal cost : Around 250 tk per person
Boat cost : 4000 tk (5-6 person)
Online এ বুকিং দিতে পারবেন। ওরাই আপনাকে নৌকা ভাড়া করে দিবে আর গাইড দিয়ে দিবে রেমাক্রি পর্যন্ত। রাতে থাঞ্ছি বাজারে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ব্রিজে গেলাম তারা গোনার জন্য। অনেকটা সময় ছিলাম সেখানে।
০১/১২/২০১৬- দিতীয় দিন
* নাস্তা করে ঘাট থাকে নৌকায় উঠতে উঠতে তখন বাজে 7:40।এবারের গন্তব্য নাফাখুম। এই পথের ভ্রমণটা ছিল খুবই রোমাঞ্চকর। যাওয়ার পথে রাজা পাথর আর তিন্দু বাজার পরবে। রেমাক্রি পৌছাতে পৌছাতে আমাদের 9:30 এর মত বেজেছিল। ঐখানে লোকাল গাইড ঠিক করে আমরা আমাদের ট্র্যাকিং শুরু করলাম নাফাখুম এর উদে৸শ্যে। গাইড ভাড়া ৫০০ টাকা। 15-20 মিনিট হাটার পর কিছু আদিবাসীদের দোকান পড়বে। ডিম, কলা, পানি খেয়ে নিবেন ঐখান থাকে। ছবি তোলার জন্য খুব একটা সময় না নিলে 11:30 এর মধ্যে পৌঁছে যাবেন নাফাখুম। তারপর যা দেখবেন সেটি লিখে প্রকাশ করাটা কঠিন। ঝরনার দিকে যাবার পাথরগুলো স্বভাবতই অনেক পিচ্ছিল, কাজেই সতর্কতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়। 12:45 এর দিকে ফিরতি রাস্তা ধরলাম রিমাক্রির দিকে। 13:40 এর দিকে আমরা রিমাক্রি বাজারে পৌঁছে যাই। 14:00 এর দিকে নৌকায় উঠে থাঞ্ছি ঘাটে পৌছাই 3:30 এর দিকে। বাজারে খাওয়া দাওয়া করে, সোজা সীমান্ত অবকাশে সূর্যাস্ত । হাল্কা নাস্তা নিয়ে যেতে পারেন, কারণ রাতে আর নামতে ইচছা করবে না।
* চান্দেরগাড়ি ভাড়া- বান্দরবন-থাঞ্ছি-বান্দরবন। ৭৫০০-৮০০০ টাকা। ১০-১১ জন বসতে পারবেন । দিতীয় দিন আপনার গাড়ির কোন দরকার হবে না। আপনি সেইভাবে কথা বলে নিবেন আর যাওয়ার পথে নীলগিরিতে থামলে ২৫০ টাকা টোল এবং জন প্রতি ৫০ টাকা লাগবে।
Contact no: kasem- 01859390525
Babu- 01557661399
০২/১২/২০১৬- তৃতীয় দিন
* সকালে নাস্তা করে থাঞ্চি থাকে 8:50 এর দিকে চান্দেরগাড়িতে করে রওনা দিলাম বান্দরবনের উদ্দেশ্যে। মাঝখানে শৈলপ্রপাত এ থামেছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। ঐখানে মাখানো আনারসটা বেশ মজার ছিল।11:30 এর দিকে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছাই। সেখান থাকে Golden temple। এক থাকে দের ঘণ্টার মধ্যে বান্দরবন শহরে ফিরে আসা সম্ভব। লোকাল অটোতে গেলে ২৫০ টাকার মত লাগবে আসা-যাওয়াতে। 13:00 টার দিকে পূর্বানীতে করে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দিলাম। বাস ভাড়া- ১১০ টাকা। চট্টগ্রামে শাহ্ আমাতন ব্রিজের উপর থাকে কর্ণফুলী নদীতে সূর্যাস্তর খানিকটা দর্শন নিয়েছিলাম। চট্টগ্রামে খাওয়াদাওয়া করার জন্য Greedy Guts Restrurent এ গেলাম। সেখানে Seafood Paella খেয়ে ঢাকার বাসে উঠলাম। 18:30 র মধ্যে চট্টগ্রাম থাকে ঢাকার সব বাস ছেড়ে দেয়। আমরা 19:00 টায় ভাগ্যক্রমে ইউনিকের একটা বাসে পাই আর সেটা দিয়েই 1:30 র দিকে ঢাকা পৌছাই। বাস ভাড়া- ৪৮০ টাকা।
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment