এক নজরে জেনে নিন চট্টগ্রাম জেলাকে




ভূমিকা:

বাংলাদেশের ২য় গুরুত্বপূর্ণ শহর চট্ট্রগ্রাম। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টরে অবদানও কম নয়। পাহাড়, নদী, সৈকত, লেক, খাবার সব কিছু মিলে চট্টগ্রাম অনেক ট্যুরিস্টের কাছেই একটি আকর্ষণীয় জায়গা। প্রতি বছর অনেক ট্যুরিস্ট আসে চট্টগ্রামে। শীতের সময় এ সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশী থাকে। বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রামে রয়েছে অনেক গুলো ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গাও। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর দেশের বিখ্যাত বেশ কিছু পর্যটন শহরের ট্রানজিট হিসেবে কাজ করে। এগুলো হচ্ছে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাংগামাটি, কক্সবাজার।

কিভাবে যাবেন:

দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর হবার কারণে দেশের অনেক গুলো শহরের সাথে চট্টগ্রামের সড়ক ও রেলপথে সংযুক্ত। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় প্রতি ৩০ মিনিট পর পর গাড়ী ছেড়ে যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।

বাস:

নন এসি: ইউনিক, শ্যামলী, ইগল, সৈাদিয়া, এস আলম, টি আর, রিল্যাক্স, হানিফ। প্রায় সব নন এসি গাড়ী ছাড়ে সায়েদাবাদ থেকে। ভাড়া ৪৮০ টাকা। টিকেট কেনা যাবে কলাবাগান, ফকিরাপুল এবং আরামবাগ থেকে। এছাড়া অনলাইনে সহজ.কম থেকেও কিনতে পারেন। নন এসি গুলোর মধ্যে ইউনিক বেশ ভালো (নিরাপদ চালানো ও সিট হিসেবে)

এসি বাস: দেশের সেরা এসি বাসগুলো চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে। দেশ ট্রাভেলস, টি আর ট্রাভেলস, রিল্যাক্স পরিবহন, গ্রীনলাইন, সোহাগ পরিবহন, সেন্ট মার্টিন পরিবহন ইত্যাদী। ভাড়া ইকোনমি ক্লাস ৯০০ এবং বিজনেস ক্লাস ১২৫০ টাকা।

ট্রেন: ঢাকা চট্টগ্রামের মধ্যে বেশ কিছু ভালো ট্রেন চলাচল করে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলী, তূর্ণা নীশিথা ও চট্টগ্রাম মেইল। এর মধ্যে তূর্ণা ও মেইল চলে রাতে, বাকীগুলো দিনের বেলায়। ভাড়া ও বিস্তারিত রেলওয়ে ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: www.railway.gov.bd বলে রাখা ভালো চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকেটের সব সময় সংকট থাকে, ট্রেনে যাবার ইচ্ছা থাকলে অন্তত ৫ দিন আগেই টিকেট কেটে নিবেন।

বিমান: ঢাকা-চট্টগ্রাম অনেকগুলো বিমান চলাচল করে। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ বিমান, নভো এয়ার, ইউএসবাংলা, ইউনাইটেড, রিজেন্ট। সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিমান চলাচল করে। ভাড়া ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)।

কোথায় থাকবেন:
অন্যান্য শহরের তুলনায় চট্টগ্রাম শহর একটু বেশী এক্সপেনসিভ। শহরের জিইসি মোড়ের আসে পাশে অনেকগুলো ভালো হোটেল আছে, কিন্তু এগুলোতে খরচ পড়বে ২.০০০-৬,০০০০ টাকা। যেমন: হোটেল লর্ডস ইন (৪,০০০ টাকা), গ্র্যান্ড পার্ক (২,৫০০ টাকা), এম্বেসেডর রেসিডেন্সি (২,০০০ টাকা), ওয়েল পার্ক (৫,০০০ টাকা)।
কম খরচে থাকলে যেতে হবে ইস্টিশন রোড। সেখানে হোটেল প্যারামাউন্ট (৮০০-১,৪০০) টাকা, এশিয়ান আর এস হোটেল, গোল্ডেন ইন সহ অনেক হোটেল।

চট্টগ্রাম জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহঃ


চট্টগ্রাম শহরের ভিতর দর্শনীয় স্থান সমূহঃ(টিকেট ছাড়া)
১. পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
২. গোল্ডেন বীচ পতেঙ্গা
৩. ১৫ নং নেভাল এভেন্যু
৪. বিমান বন্দর
৫. ফইল্লাতলী সাগরের পাড় ও ম্যানগ্রোভ বন
৬. পোর্টের টোল সড়ক
৭. রেলওয়ে জাদুঘর
৮. ঝাউতলা আবহাওয়া ওফিস ও ব্র্যাক এর পাহাড়
৯. বাটালী পাহাড় (বিজয় স্তম্ভ)
১০. জিলাপী পাহাড়
১১. সিআরবি পাহাড়
১২. ডি সি হিল
১৩. কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ
১৪. ফিরিঙ্গিবাজার ব্রীজ ঘাট/ফিসারী ঘাট (নৌ- ভ্রমন পিয়াসুদের জন্য)
১৫. জাতিসংঘ পার্ক (পাচলাইশ)
১৬. বিপ্লব উদ্যান (২নং গেইট)
১৭. সানসেট পয়েন্ট ভাটিয়ারী ও ভাটিয়ারী লেক
১৮. ওয়ার সিমেট্রি
১৯. কাঠগড় বীচ
২০. অভয়মিত্র ঘাট ( নেভাল ২ নামে পরিচিত)
২১. ফিরিঙ্গি বাজার মেরিন ড্রাইভ।

চট্টগ্রাম শহরের ভিতর দর্শনীয় স্থান সমূহঃ(টিকেট/পারমিশন প্রয়োজন)
১. ফয়েজ লেক
২. চিড়িয়া খানা
৩. মিনি বাংলাদেশ
৪. কাজীর দেওরী শিশু পার্ক
৫. আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক
৬. বাটারফ্লাই পার্ক
৭. ভাটিয়ারী গলফ ও কান্ট্রি ক্লাব (আর্মি পারমিশন প্রয়োজন)
৮. ক্যাফে ২৪

ভাটিয়ারি শহরের কাছাকাছি একদিনের ভ্রমন এ যাওয়া সম্ভব এমন দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
১. কাপ্তাই
২. রাঙ্গামাটি
৩. বান্দরবন
৪. সীতাকুণ্ড
৫. মুহুরি প্রজেক্ট ফেনী
৬. মহামায়া রবার ডেম প্রকল্প মিরসরাই
৭. সহস্র ধারা ঝর্না বড় দারোগাহাট, সিতাকুন্ড
৮. পারকি সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারা
৯. বাশখালী বামের ছরা ইকোপার্ক
১০. চকোরিয়া ডুলাহাজরা সাফারী পার্ক
১১. পিকনিক স্পট ঠান্ডাছড়ি
১২. রাঙ্গুনীয়ায় লিচুবাগানে পক্ষীশালা (শেখা রাসেল এভিয়ারি পার্ক) (প্রথম বাংলাদেশে দীর্ঘতম ক্যাবল কার সমৃদ্ধ )
১৩। খৈয়াছরা ঝর্ণা মিরসরাই
১৪। বোয়ালিয়া ঝর্ণা, বারইয়ারহাট।

ফটিকছড়িতে যে ১৭টি চা বাগান রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
১. কর্ণফুলি চা বাগান
২. খৈয়াছড়া চা বাগান
৩. উদালিয়া চা বাগান
৪. বারমাসিয়া চা বাগান
৫. এলাহীনুর চা বাগান
৬. রাঙাপানি চা বাগান
৭. আছিয়া চা বাগান
৮. নাছেহা চা বাগান
৯. দাঁতমারা চা বাগান
১০. নিউ দাঁতমারা চা বাগান
১১. হালদা ভ্যালী চা বাগান
১২. পঞ্চবটি চা বাগান
১৩. মা জান চা বাগান
১৪. মোহাম্মদ নগর চা বাগান
১৫. নেপচুন চা বাগান
১৬. রামগড় চা বাগান।


========================================================================

মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

বাংলাদেশের ২য় গুরুত্বপূর্ণ শহর চট্ট্রগ্রাম। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টরে অবদানও কম নয়। পাহাড়, নদী, সৈকত, লেক, খাবার সব কিছু মিলে চট্টগ্রাম অনেক ট্যুরিস্টের কাছেই একটি আকর্ষণীয় জায়গা। প্রতি বছর অনেক ট্যুরিস্ট আসে চট্টগ্রামে। শীতের সময় এ সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশী থাকে। বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রামে রয়েছে অনেক গুলো ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গাও। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর দেশের বিখ্যাত বেশ কিছু পর্যটন শহরের ট্রানজিট হিসেবে কাজ করে। এগুলো হচ্ছে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাংগামাটি, কক্সবাজার।

Post a Comment

[blogger]

Author Name

{picture#https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1196479430442738} YOUR_PROFILE_DESCRIPTION {facebook#https://www.facebook.com/alwasikbillah} {twitter#https://twitter.com/awasikb} {google#https://plus.google.com/112469283873821392454} {instagram#https://www.instagram.com/awasikb}

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.