দেশের এডভেঞ্চারপ্রেমীদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য বান্দরবান। অনেক পর্যটক আছেন যারা বিভিন্ন কারণে এ ধরণের এডভেঞ্চারে যেতে চান না, তাদের জন্য এই লেখাটা্। বলার অপেক্ষার রাখেনা সুন্দর জায়গাগুলো আসলে অনেক দূর্গম। এলেখার উদ্দেশ্য কাউকে খাটো করা না বরং যারা পরিবার, বাচ্চা-কাচ্চা সহ সহজ ট্রিপ দিতে চান তাদের জন্যই এটা লেখা।
কিভাবে যাবেন?
নিকটবর্তী শহরগুলো (যেমন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে) বান্দরবানের সরাসরি গাড়ী আছে। এছাড়াও ঢাকা থেকে সরাসরি এসি/নন-এসি গাড়ী আছে। ঢাকা থেকে গাড়ী সায়েদাবাদ/ফকিরাপুল ছেড়ে যায় রাত ৮-৯ টার দিকে। হানিফ, শ্যামলি, এস আলম ইত্যাদী গাড়ী। ভাড়া নন এসি ৬২০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে গাড়ী ছাড়ে বহদ্দার টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী। প্রতি ঘন্টায় গাড়ী ছাড়ে এবং আগে টিকেট করার প্রয়োজন পড়েনা। কক্সবাজার থেকে গাড়ী ছাড়ে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে পূর্বাণী গাড়ী ছাড়ে প্রতি ঘন্টায়। মনে রাখবেন চট্টগ্রাম ও কক্স বাজার থেকে বিকাল ৫টার পড়ে গাড়ী ছাড়েনা। নিজেরা গাড়ী নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্স বাজার মহাসড়কের কেরাণীহাট থেকে বামে মোড় নিবেন। সেখান থেকে এক রাস্তায় বান্দরবান প্রায় ২০ কিমি। অবশ্যই বান্দরবানে চান্দের গাড়ী/ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ী ভাড়া করবেন।
থাকার ব্যবস্থা:
বান্দরবানে থাকার ব্যবস্থা মূলত হোটেল গুলো। এছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো রিসোর্ট। মিলনছড়ি রিসোর্টের রুম পড়বে ৩,০০০ টাকা। হলিডে ইন ২,০০০ টাকা। এসপেক রিসোর্ট (নীলাচল), ৪,০০০ টাকা। এছাড়াও হোটেল মোটামুটি ৫০০-২,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
খাবার:
রিসোর্টে থাকলে ওখান থেকেই খাওয়া লাগবে, কারণ রিসোর্টগুলো শহর থেকে দূরে। আর শহরে থাকলে বের বাজারের ভিতরে এবং টার্মিনাল এলাকার হোটেলগুলোতে খেতে পারবেন।
দর্শনীয় স্থান:
- চিম্বুক পাহাড়
- শৈল-প্রপাত
- নীলগিরি
- নীলাচল
- স্বর্ণ মন্দির
- সাংগু নদী
- মেঘলা
গাড়ী ভাড়া:
বান্দরবানের জন্য ফোর হইল গাড়ী ভাড়া করা জরুরী। সাধারণত জীপ গুলোর পেছনে খোলা জায়গায় ১০-১২ জন সহজেই যাওয়া যায়। প্রতিদিনের গড় ভাড়া ৪,০০০+/- টাকার মত। ছোট গ্রুপ হলে, হোটেলের অন্য ট্রাভেলারদের সাথে যোগ দিয়ে বড় গ্রুপ করে নিতে পারেন যাতে খরচ কমে। নীলাচল ও স্বর্ণ মন্দির মোটামুটি আলাদা রুট। সেগুলোতে যাওয়ার জন্য আলাদাভাবে গাড়ী ভাড়া করতে পারেন।
ডেমো ট্যুর প্ল্যান:
গাড়ী ভাড়া করবেন নীলগিরি পর্যন্ত, পথে শৈল প্রপাত, চিম্বুক থেমে নীলগিরি যাবেন। আগে থেকে অর্ডার দেয়া থাকলে ওখানে যেয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ফিরতে পারবেন। বিকেলে স্বর্ণ মন্দির আর নীলাচল আলাদাভাবে দেখবেন। হাতে সময় থাকলে এ প্ল্যানটাকে দু’দিনে ভাগ করে কাভার করতে পারেন। অর্থ্যাৎ দিন নীলগিরির দিকে গেলেন আরেকদিন মেঘলা, নীলাচল ও স্বর্ণ মন্দির দেখে শহরে এসে সাংগু নদীর ধারে সন্ধ্যায় ঘুরলেন।
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment