ভেলাখুম |
ভেলাখুম (আমিয়াখুম আপ স্ট্রিম) পাথুরে পাহাড়ের স্বর্গ
ট্যুরে ছিল সাতভাইখুম, নাইক্ষংমুখ, আমিয়াখুম জলপ্রপাত সাতভাইপাথর, নাফাখুম জলপ্রপাত, রেমাক্রি ফলস, বড়পাথর, তিন্দু এবং এসব যাওয়ার পথে অসাধারন পাহাড়ি পথ।
যেভাবে যাবেনঃ
প্রথম দিনঃ
১/ ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবান ---- ৬০০-৬৫০ (নন এসি)
২/বান্দরবান থেকে থানচি ---- চান্দের গাড়ি -- ৫০০০ অথবা
বাস জনপ্রতি --- ২০০
৩/থানচি থেকে গাইড নিয়ে নিবেন সব মিলিয়ে প্যাকেজ -- ৬৫০০ -- ৭০০০ পড়তে পারে। এর ভিতরে ভেলাখুম এর আরেকজন গাইডের টাকাও এড থাকবে। প্রথমজন থুইসাপাড়া পর্যন্ত নিয়ে যাবে দিতীয় জন আমিয়াখুম নিয়ে যাবেন। প্রথম জনই (থানচি থেকে যাকে নিবেন) দিতীয় জন সহ সব কিছু ঠিক করে রাখবেন। দিতীয় জন থুইসা পাড়া থাকবেন। আর ভেলাখুমের জন্য ভেলাও উনি ঠিক করে রাখবেন প্রতি ভেলা ২০০ --- ৩০০ পড়বে। ৬- ৭ জন উঠতে পারবেন।
৪/থানচি থেকে পদ্মমুখ নৌকায় ---৮০০ - ১০০০ টাকা। ৫-৬ জন উঠতে পারবেন।
৫/পদ্মমুখ থেকে পদ্মঝিরি হয়ে থুইসা পাড়া --- (৪ - ৬) ঘন্টা লাগতে পারে নির্ভর করবে হাটার উপর। আর রাতে ট্রেকিং 😃 করা লাগতে পারে লাইট নিয়ে যাবেন । থুইসা পাড়ায় জনপ্রতি থাকা ১০০ টাকা আর খাওয়া ১২০ ( বন মোরগ -- আলুর ভর্তা -- ডাল)।
দ্বিতীয় দিনঃ
৬/ থুইসা পাড়া থেকে পড়দিন ভোর ----- ৫:৩০ থেকে ৬টায় রওয়ানা দিবেন দেবতার পাহাড় হয়ে আমিয়াখুম আপ স্ট্রিম লোয়ার স্ট্রিম এর উদ্যেশে, সময় --- দুই থেকে আড়াই ঘন্টা লাগবে। অসাভাবিক সুন্দর জায়গাগুলা। এইদিকেই ছবির ভেলাখুম যেইখানে ভেলা দিয়ে ঘুরবেন। আমিয়াখুম, সাতভাইখুম, মাথাভরাখুম সব ওইখানেই।বিকালে আবার থুইসা পাড়া ফিরে রাতে ওইখানেই থাকবেন।
তৃতীয় দিনঃ
৭/থুইসা পাড়া থেকে পড়দিন ভোরে নাফাখুম হয়ে রেমাক্রি বাজার যাবেন। সময় লাগবে -- থুইসা পাড়া হতে নাফাখুম দুই ঘন্টা -- নাফাখুম হতে রেমাক্রী বাজার দুই ঘন্টা। পুরোটা পথই খাল ধরে হাটবেন।
৮/ দুপুরে রেমাক্রি বাজার পৌছে নৌকা নাহ পেলে রেমাক্রি বাজারে কটেজে থাকতে পারেন বেশ সুন্দর জায়গাটা। আমরা মেলোডি কটেজে ছিলাম ওইখানে জনপ্রতি থাকা --- ১৫০/ খাওয়া -- ১২০ (খাবার থুইসা পাড়ার মতই)। এর পাশেই রেমাক্রি ফলস 😃।
আর থানচি চলে যেতে চাইলে সকাল সকাল ১১ টা ১২ টার মধ্যে রেমাক্রি বাজার পৌছাতে হবে। নাহয় থানচি যাওয়ার নৌকা ভাড়া বেশী চাইবে। আবার থানচি পৌছে বিকেলে বান্দরবানের কোন গাড়ি পাবেন নাহ। চাইলে নৌকায় করে তিন্দু গিয়েও থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রেও ভাড়া বেশী লাগবে। তাই রেমাক্রি বাজারি থাকার জন্য উপযুক্ত সব মিলিয়ে।
চতুর্থ দিনঃ
৯/ রেমাক্রি বাজার থেকে বড়পাথর তিন্দু হয়ে থানচি নৌকা ভাড়া --- ১৮০০ -- ২০০০ টাকা। ৫- ৬ জন উঠতে পারবেন। ( সেইরকম একটা বোট জার্নি। চমৎকার জায়গা )
১০/থানচি থেকে বাসে বা চান্দের গাড়িতে বান্দরবান। বান্দরবান থেকে বাসে ঢাকা। আসার মতই ফিরবেন।
সকল ভাড়া নেগোসিয়েশান করে ঠিক করবেন।
আমাদের থানচি থেকে থুইসা পাড়া নিয়ে গেছেন অজিত ভাই। থুইসা পাড়া থেকে হোম্প ( সহজ সরল হাসিওয়ালা অসাধারন একটা লোক)। থুইসা পাড়ায় রাজু ভাইয়ের বাসায় ছিলাম খুব বেশী আপ্যায়নের মাঝে আর মেলোডি গেস্ট হাউজে দিদির অসধারন ব্যবহার মনে থাকবে চিরজীবন। খাবারের ব্যাপারে বলতে হলে বলব খাওয়াতে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রেকর্ড করে ফেলতে পারেন :p।
যাওয়ার সময় আদিবাসীদের জন্য বেশী করে ঔষধ নিতে ভুলবেন নাহ।
সহজ সরল আদিবাসীদের আতেথীয়তায় কয়েকটাদিন যে কিভাবে কেটে যাবে ঠাওরই করতে পারবেন নাহ। বাড়িতে এসে বিগত কয়েকদিনের স্মৃতিগুলা মনে করে মন খারাপ হলে আমার কোন দায় নেই ।
আদিবাসীরা বন্ধুসুলভ আশা করি তাদের সাথে বন্ধুর মতই আচরন করবেন ধন্যবাদ।
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
লিখাটা আমার এটলিস্ট ক্রেডিট টা দিতে পারতেন। ধন্যবাদ।
ReplyDeleteজী দেওয়া হয়েছে :)
Delete