নতুন নিয়মে যেভাবে ই-টোকেনের ঝামেলা ছাড়াই করবেন ইন্ডিয়ান ভিসা

ইন্ডিয়ান ভিসা
অবশেষে ই-টোকেনের ঝামেলা ছাড়াই টিকিট কেটে মাত্র ৫ দিনে পেয়ে গেলাম ১ বছরের জন্য ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা । :) :) 
.
ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ ১৫ দিনের জন্য জাচ্ছি আমরা ৪ বন্ধু । প্লান [ কলকাতা > আগ্রা > দিল্লী > মানালী > হিমাচল প্রদেশ > কাশ্মীর অথবা পাঞ্জাব > আম্রিতাসর > হারিয়ানা ]

কিভাবে ই-টকেন ছাড়া ভিসা পাবেন
=========================
.
শ্যামলীর একখানা টিকিট কাটুন ১৭০০ টাকা নিবে ( শুধুমাত্র যাওয়ার টিকিট কাটলেই হবে ) । মনে রাখবেন যেদিন পাসপোর্ট জমা দিবেন সেদিন থেকে যেন টিকেটের মেয়াদ অন্তত ৭ দিন পরে হয় । মানে অন্তত ৭ দিন পরে যাত্রার তারিখ হয় । তবে সাবধানতার জন্য আপনি ১৫ দিন নিবেন এবং maximum 30 দিন । যদি মিস হয় তবে যেন আবার জমা দিতে পারেন । এবার কিছু খেলা দেখাতে হবে । মানে চিকন পিনের বুদ্ধি । যেকোন মানি Exchange থেকে ডলার এন্ড্রলস করাবেন । আর আপনার ব্যাক থেকে ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট নিবেন । এতে আপনার ভিসা পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । যারা উপরের বুদ্ধিতে যাবেন না তারা জেকোন সরকারি ব্যাংক বা বেসরকারি ব্যাংক থেকে ডলার কিনে নেন । তবে মাথায় রাখবেন অনেক ব্যাংক আপনার Account না থাকলে ডলার দিবে না । এর পরের নিয়ম গুলা আগের মত
.
টিকিট পাসপোর্টের সাথে পিনা দিয়ে মেরে দিবেন । এ্র পর সব কিছুর ফটো কপি আলাদা ভাবে পিনাপ করবেন ( Application Form এর মেইন কপি জমা দিতে হবে ) । আর Utility Bill + ডলার এন্দ্রলস্মেট এর মেইন কপি ওদের দেখিয়ে নিজের কাছে রেখে দিবেন । সব খানে ফটোকপি দিবেন আর মেইন কপি নিজের সাথে রাখবেন । অনেক সময় ডলার এন্দ্রলস্মেট এর কপি বেনাপোলে দেখতে চায় । 
.
সব ঠিক থাকলে ৫ থেকে ৭ দিনের একটা তারিখ পাবেন :)
.
যেভাবে সামনে এগুবেন
==================
১. http://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/ এখানে Apply করবেন
.
২. টিকিট কাটুন ( শুধুমাত্র শ্যামলী + BRTC + রেল + সৌহার্দও +ত্রিপুরা পরিবহন + Air Ticket )
.
৩. সাজাবেন যে ভাবে
* আবেদন ফর্ম ( মেইন কপি )
* NID / BIRTH CERTIFICATE এর ফটোকপি 
* UTILITY BILL এর ফটোকপি
* BANK STATEMENT / DOLLAR ENROLLMENT এর ফটোকপি 
* STUDENT ID / GO / NOC / TRADE LICENCE এর ফটোকপি
* TICKET এর ফটোকপি
* PASSPORT এর ফটোকপি
.
এগুলো একসাথে পিন মেরে রাখবেন 
.
৪. টিকিট PASSPORT এর সাথে পিন মেরে রাখবেন
.
৫. UTILITY BILL , NID আর BANK STATEMENT / DOLLAR ENROLLMENT মেইন কপি নিজের সাথে রাখবেন । দেখতে চাইলে দেখাবেন ।
.
৬. ৬০০ টাকা ভিসা ফি দিয়ে পাসপোর্ট জমা দেবার জন্য লাইনে দাঁড়ান ।
.
কিছু সাধারন জ্ঞানঃ
=============
* Utility Bill : এর সাথে শুধুমাত্র আপনার বর্তমান ঠিকানার মিল থাকতে হবে ।
.
* NID :এর সাথে আপনার নাম আর Permanent ঠিকানার মিল থাকতে হবে ।
.
* ফ্যামেলী ভিসা বা সন্তান বা স্ত্রীর ভিসার জন্য সবার পাসপোর্ট এর কপি সবার ফর্ম এর সাথে দিতে হবে ।
.
* মেয়েদের লাইনে দাড়াতে হয় না ।
.
* ফর্ম এর যেখানে Indian পরিচিত কারো ঠিকানা বা রেফারেন্স চায় সেখানে আপনার কেউ না থাকলে ইন্ডিয়ান যে কোন পপুলার হোটেলের ঠিকানা দিন (Google এ সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন )
.
* ফর্ম পুরন করতে গিয়ে সব সময় Temporary ID টা সেভ করুন । কোন কারনে সার্ভার Error হলে নতুন করে ফর্ম না পুরন করে আবার Website এ গিয়ে Complete Partially Filled এ ক্লিক করুন Temporary ID দিন , Capture পুরন করুন । আবার আগের অবস্থানে ফেরন যাবেন

* যারা Expert তারা Autofill Forms addons টা ব্যাবহার করতে পারেন ( এটা না পারলে ব্যাবহারের দরকার নাই )
.

শ্যামলী ভিসা সেন্টারের ঠিকানা
====================
Alamin Apon Heights 27/1/B (1st Floor) Shyamoli, 
(Opposite of Shyamoli Cinema Hall) 
Mirpur Road, Dhaka-1207

.
নোটঃ এই সুবিধা শুধুমাত্র শ্যামলী ভিসা সেন্টারের জন্য । পাসপোর্ট জমা দেওয়ার সময় রবি থেকে বৃহস্পতি সকাল ৮ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত । এখানে কোন দালাল নাই । লাইনে দাড়িয়ে কাজ করতে হয় । ভীর আছে তবে খুব বেশী না । ২ ঘণ্টা লাইনে দারালেই হবে । সকাল সকাল যাবার চেষ্টা করবেন । তাই বলে ভোরে যাবার দরকার নাই :) । সকাল ৮ টার মধ্যে গেলেই হবে ।


এ বিষয়ক আরও একটি পোস্টঃ 


প্রসঙ্গ ই টোকেন ছাড়া কনফার্ম টিকিট দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা। 

অনেকেই জানতে যান কীভাবে ই টোকেন ছাড়া কনফার্ম টিকিট দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়া যায়। আজ এইটা নিয়েই লিখবো।

আবেদন ফর্ম পুরনঃ
এটা হলো প্রাথমিক কাজ। ivacbd.com ওয়েবসাইটে গিয়ে বা সরাসরি এই লিঙ্কে http://www.ivacbd.com/online_visa.php গিয়ে আবেদন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। সকল তথ্য পাসপোর্টের অনুরূপ হতে হবে। অনেক সময় বেশিক্ষণ লাগিয়ে তথ্যগুলো পূরণ করলে সেশন টাইম আউট দেখায় তাই একটু দ্রুত পূরণ করা ভালো অথবা প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো আগেই একটি ওয়ার্ড ফাইল করে লিখে রাখতে পারেন। অত বড় কিছু না, ১০-১৫ মিনিটেই করে ফেলা যায় পুরো কাজটা।
ইন্ডিয়ায় বসবাসরত কারও রেফারেন্স চায় একটা জায়গায়, ওখানে কোন বন্ধু বা পরিচিতের নাম ফোন নাম্বার দিতে পারেন, নাহলে হোটেলের নাম। গুগল করলেই অনেক হোটেলের বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। এগুলোতে একটু সময় লাগে তাই ফর্ম পূরণ করতে বসার আগেই এসব তথ্য হাতের কাছে রাখলে ভালো। একটা ছবি আপ্লোড করা লাগবে অনলাইনে আর সেটারই ২*২ মাপের একটা ছবি প্রিন্টেড অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের সাথে আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

নিজের তথ্য দেয়ার সময় এক জায়গায় ১০ ডিজিটের ফোন নাম্বার দেয়া নিয়ে অনেকে ঝামেলায় পড়ে, প্রথম 0 টা বাদ দিয়ে আপনার নাম্বার লিখবেন ওখানে।

এক্সিট/এন্ট্রি পোর্টও বুঝে শুনে দেবেন, কিভাবে যেতে চান, কোথায় যেতে চান তার উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করুন, ফর্মে বেশ কিছু অপশন আছে, সেখান থেকেই বেছে নিতে হবে। ভারতে অবস্থানের মেয়াদ জানতে চাইবে এক জায়গায়, ওখানে ১-২ মাস লিখতে পারেন কারণ মাসেই হিসাবটা লিখতে হয়। এতার সাথে কতদিনের ভিসা পাবেন তার সম্পর্ক নেই। আমি এক মাস দিয়েছিলাম, এক বছরের ভিসা পেয়েছি।
যাহোক, পূরণ করা শেষে আবেদন ফর্ম প্রিন্ট করে নেবেন অথবা যে পিডিএফ ফাইল্টা পাবেন সেটা প্রিন্টের জন্য সেভ করে রাখবেন।
আরেকটা জিনিস মনে রাখা দরকার, পূরণ করার দশ দিন পর্যন্ত একটা আবেদনপত্রের মেয়াদ থাকে, এর মধ্যেই টিকেট কেটে পাসপোর্ট জমা দেয়ার কাজ সারতে হবে নাহয় আবার আবেদন ফর্ম পূরণ করা লাগবে।

টিকিট কেনাঃ
ফর্ম পূরণ করার দিন বা পরদিনই টিকেট করে ফেলুন যদি আগেই না করে থাকেন। সব টিকেট কিন্তু নেয় না ওরা তাই সাবধান। মৈত্রী ট্রেন, সৌহার্দ বাস, বি আর টি সি, শ্যামলী বাস, ত্রিপুরা ট্রান্সপোর্ট, এয়ার টিকেট এরকম কিছু নির্দিষ্ট যানবাহনের টিকিটই কাটা লাগবে আপনার।
যেদিন আবেদন ফর্ম জমা দিতে যাবেন টিকিটের তারিখ তার থেকে অন্তত ৭ দিন পর হতে হবে। সেফটির জন্য ১০-১৫ দিন পরের টিকিট করাই ভাল। ধরুন আপনি ৫ তারিখে আবেন ফর্ম জমা দেবেন এমব্যাসি তে, তাহলে টিকেট কাটুন ১৫ তারিখের পরের। যে টিকিট দেখিয়ে ভিসা পাবেন সেই টিকেট দিয়ে সেই তারিখেই যেতে হবে এমন কোন কথা নেই, আপনি চাইলে পরেও যেতে পারেন নতুন টিকিট দিয়ে অথবা যদি সম্ভব হয় টিকিটের তারিখ বদলিয়ে। ট্রেনের ক্ষেত্রে একবার তারিখ বদলান যায় কিছু জরিমানার বিনিময়ে।

ভিসা না হলে টিকিট ফেরত হয় না। তবে সব কাগজ-পত্র ঠিক থাকলে ভিসা দিয়ে দেয়। ট্রেনের টিকেট ২৯ দিন আগে পর্যন্ত কাটা যায় কমলাপুর স্টেশন থেকে। তবে টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়াতে হয় ১-২ ঘণ্টা কখনো তার চেয়েও বেশি। বাসের ক্ষেত্রে ঝামেলা কম মনে হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রঃ
কাগজ পত্র বলতে ফরম ফিলাপ করে প্রিন্ট কপি, পাসপোর্ট, উইটিলিটি বিল, জব হোল্ডারদের জন্য এনওসি, কনফার্ম টিকেট, টিকিটের ফটোকপি, ডলার এন্ড্রোস বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ২*২ মাপের ছবি, পাসপোর্টের ছবি সহ পেইজের ফটোকপি, আগের ভিসা থাকলে সেই ভিসার পেইজের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পুরনো পাস্পোর্ট। পরিবারের অন্য কারোটা আপনি জমা দিলে আপনার পাস্পোর্টের ফটোকপি অন্যদের ফরমের সাথে দিতে হবে। সব কাগজ পত্র সিরিয়ালি সাজিয়ে নিতে হবে। ওটা জমা দেয়ার লাইনেও করে নিতে পারবেন, ওরা বারবার বলে দেয় কিভাবে সাজাতে হবে। কনফার্ম টিকিটের মূল কপি পাসপোর্টের সাথে পিন দিয়ে আটকে দিতে হবে। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট বা ডলার এন্ডর্স যে কোন একটা হলেই হয়। গৃহিণী হলে স্বামীর ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দিতে পারেন। ইউটলিটি বিল আর আপনার দেয়া ঠিকানা যেন একই হয় খেয়াল রাখবেন। মেয়েরা ভাই-বোন-মা-বাবা-স্বামীর পাস্পোর্ট জমা দিতে পারবেন, স্বামী- স্ত্রীর একজন যদি দুজনেরটা জমা দেন সেক্ষেত্রে কাবিন নামার ফটোকপিও জমা দিতে হবে অবশ্যই। পুরনো পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়ে থাকলে জিডি কপি অবশ্যই জমা দিতে হবে। এগুলো একটা ছাড়াও জমা নিবেনা।

ফর্ম জমা দেয়াঃ
কনফার্ম টিকেট দেখিয়ে ঢাকায় শুধু শ্যামলি ভিসা সেন্টারেই ফর্ম জমা দেয়া যায়। শনি থেকে বৃহস্পতি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জমা নেয়। শনিবার শুধু মেয়েদের জন্য। অন্যদিন ছেলে-মেয়ে আলাদা লাইন, আমি ৯টায় গিয়ে ১১টার মধ্যে সব শেষ করে ফিরেছিলাম। ছেলেদের লাইন বড় সময়ও বেশি লাগে। জমা দিয়ে আসলে ৫-৭ দিন পরের একটা তারিখ দেয় সাধারণত পাসপোর্ট নিয়ে আসার জন্য।

এই তো। যত বড় করে লিখলাম প্রসেস্টা তত ঝামেলার না কিন্তু, শুরু করলেই হয়ে যায়। এই প্রতিটা কাজই নিজে নিজে করা যায়। তাতে করে কোনো অতিরিক্ত খরচও হয় না। সব কিছু ঠিক মত জমা দিলে ভিসা পেয়ে যাবেন আশা করি।
ভ্রমণ শুভ হোক।


========================================================================

মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

Post a Comment

  1. স্থলপথে কয়টি স্থানের নাম ভিসায় উল্লেখ করা যাবে,আসা যাওয়ার জন্য?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ১ টি পোর্ট এন্ট্রি ও একটি পোর্ট এক্সিট... ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য...

      Delete

[blogger]

Author Name

{picture#https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1196479430442738} YOUR_PROFILE_DESCRIPTION {facebook#https://www.facebook.com/alwasikbillah} {twitter#https://twitter.com/awasikb} {google#https://plus.google.com/112469283873821392454} {instagram#https://www.instagram.com/awasikb}

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.