পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত |
কীভাবে যাবেন?
প্রথমে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসতে পারেন রাত ১০ টার আগে। রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম মেইল নামক একটা ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। শুলভ সীট নিয়ে যদি যেতে পারেন তাহলে ভাড়া গুণতে হবে ১৬০৳। এই ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌছাবে সকাল ৮টার দিকে। এই ট্রেন না পেলে রাত ১১টায় তূর্ণা নিশীতে করে চট্টগ্রাম আসতে পারেন , ভাড়া পড়বে ৩৪০-৩৪৫টাকা। চট্টগ্রাম স্টেশনে নেমে আশেপাশে নাস্তাটা করে নিতে পারেন। স্টেশনের বাইরে অনেক বাংলা , পাঁচ তারা হোটেল আছে। আপনার পছন্দ মত যেকোন একটায় ঢুকে পছন্দের নাস্তা করে নিতে পারেন।
স্টেশন থেকে টাইগারপাস আসতে পারলে ভালো। অথবা স্টেশন থেকেই ৬নং বাসে উঠে যেতে পারেন। নয়তো টাইগারপাস থেকে ১০নং বাসে করে পতেঙ্গা যেতে পারবেন। কিন্তু এটা ওদের মর্জি অনুযায়ী। যাত্রী থাকলে পতেঙ্গা পর্যন্ত যাবে নয়তো আপনাকে নামিয়ে দিবে কাঠগড়ে। এই ১০নং বাস বদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২নং জিইসি, ওয়াসা, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ হয়ে কাঠগাড় যাবে। এখানে আপনাকে ভাড়া গুণতে হতে পারে ৪০-৫০ টাকার মতন , রিক্সা ভাড়াসহ। কাঠগড় নেমে অটো করে পতেঙ্গা সি'বীচে চলে যেতে পারবেন। এখানে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১০-১৫টাকা। আপনাকে সি'বীচের প্রায় ১ মিনিট হাটার দুরুত্বে নামিয়ে দেয়া হবে। কিছুটা হাটলেই সি'বীচ পাবেন।
সি'বীচে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়ে আবার ব্যাক করতে পারেন ঠিক একই উপায়ে। কিন্তু এখানে চাইলে আপনি বাসে করে সোজা টাইগারপাস চলে আসতে পারবেন। (যদি বাস থাকে, নরমালি থাকে)। আর টাইগারপাস থেকে রিক্সা করে ষ্টেশন চলে আসবেন। সন্ধ্যার দিকে চাইলে আপনি নেভাল সি'বীচ টাও ঘুরে আসতে পারবেন। সাথে সেখানে নামকরা পেঁয়াজুটাও খেয়ে আসুন। পতেঙ্গা থেকে নেভাল খুব কাছেই। টমটম দিয়েই যেতে পারবেন।
চট্টগ্রাম ষ্টেশন থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেইল নামে একটি ট্রেন ছেড়ে যায়। এটি করে ঢাকায় ব্যাক করতে পারবেন।
খুব বেশি আরাম আয়েশ করে যেতে না চাইলে, মাত্র ৪৫০-৫০০ টাকাতে খাওয়া খরচ বাদে ঘুরে আসা যাবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। বাসে যাওয়ার প্রসেস বলতে না পারায় দুঃখিত, কখনও বাসে করে যাওয়া হয়নি।
ট্রেনের সীট পেতে হলে ২-৩ দিন আগে টিকিট কেটে রাখা ভালো।
সৌজন্যে ধ্রুব বর্মণ
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment