আপনাদের সুবিধার জন্য আমি আরও একটি ভ্রমন কাহিনি এখানে উল্লেখ করে দিচ্ছি, যার পুরাটা ক্রেডিট দিচ্ছি
Hasan Imam ভাই কে। তো চলুন জেনে নেই...
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছ দেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছদেবতাখুমের পথে..............
আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা থেকে। সায়দাবাদ থেকে আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারবেন। নন এসি বাস ভাড়া খরচ পরবে ৬২০ টাকা প্রতিজনের। ঢাকা থেকে রাত ৯/১০ টার মধ্যে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ভালো। তাতে সকাল সকাল বান্দরবন পৌছে যাবেন। অনেক সময় বাচবে।
বান্দরবন পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিতে পারেন। তবে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নাস্তা করার জন্য আমি সাজেষ্ট করবো। এতে করে সকালের প্রথম বাস মিস না হবার চান্স খুব কম থাকবে। রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হলে ব্যাটারীচালিত অটোর সাহায্য লাগবে। একা যেতে পারেব ১০ টাকার বিনিময়ে কিংবা ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারেন ভ্রমনসঙ্গী অনুসারে।
এবার আপনি পৌছে গেলেন রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এবার সকালের নাস্তাটা সেরে নিন। বাসস্ট্যান্ডেই আছে হোটেল। এদিকে বাসের টিকিট কাটতে ভুলবেন না যেনো। প্রথম বাস ঠিক ৮ টায় ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া পরবে প্রতিজন ৬০ টাকা। ও, ভালো কথা। বাস স্ট্যান্ডের পেছনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট।নামমাত্র মূল্যে সেরে নিতে পারেন আসল কাজ। আর কখন না কখন সুজোগ পান তা তো বলা যায় না।
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি যেতে বড়জোর লাগবে ১ ঘন্টা। পথিমধ্যে আকাবাকা আর উচুনিচু পাহাড়ী পথ, দুই পাশে পাহাড় দেখতে দেখতে ১৯ কিলোমিটারের পথ আপনার কাছে স্বল্পদূরত্বই মনে হবে।
বাস থেকে নেমে আপনাকে একটা ব্রিজ পায়ে হেটে পার হতে হবে। এরপরই পরবে রোয়াংছড়ি বাজার। দুপুর আর রাতে কি খেতে চান তা নিয়ে নিতে পারেন বাজার থেকে। শিলবান্ধা পাড়ায় এ সুবিধা পাবেন না। বাজার করা শেষ? এবার চলেন কচ্ছপতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
রোয়াংছড়ি বাজার থেকে কচ্ছপতলী যাবার জন্য সিএনজি পাবেন, একজন ৬০ টাকা, রিজার্ভ ৩০০। কচ্ছপতলী বাজারে পৌছে আপন ভাইকে একটা ফোন দেন। ও আচ্ছা, আগে বলে নিই এই আপন ভাই হচ্ছে আপনাদের গাইড। থাকা, খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা উনি ই করবেন। ঢাকা থেকে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখবেন কবে আপনারা যাবেন আর রাত্রে থাকবেন কি না, থাকলে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিবেন। সাথে উনার সম্মানীর ব্যাপারটাও।
কচ্ছপতলী থেকেই আপনার আসল ভ্রমন শুরু। ভালো গ্রিপের জুতা পরে নিন। আর ব্যাগ হালকা তো? নাহলে কিন্তু হাটতে কষ্ট হবে। একটা পানির বোতল নিয়ে নিন। ফার্স্ট-এইড সাথে থাকা প্লাস পয়েন্ট। চলেন এবার আপন ভাইয়ের পিছনে পিছনে হাটা শুরু করি। আগেই বলে রাখি, পথ দুটো। পাহাড়ের বুক চিরে যে রাস্তা উপরে উঠেছে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুই নম্বর রাস্তাকেই আমি বেছে নিতে বলবো। নদীর কোল ঘেষে ঘেষে। আশে পাশে কোথাও লাঠি বা বাশ পেলে কুড়িয়ে নিন। হাটতে সুবিধা হবে। যে পাথর পানিতে ডুবে আছে, তাতে পা দিয়ে পারা দেবার আগে সতর্ক থাকুন। পাথরগুলো পিচ্ছিল থাকতে পারে। আর বাশ দিয়ে পানির গভিরতা কিংবা কোনো গর্থ আছে কি না তা বুঝতে পারবেন।
শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে বুঝতে পারবেন সামনেই শিলবান্ধা পাড়া। আরেকটু কষ্ট করে পা চালাতে থাকেন। শিলবান্ধা পাড়াতে পৌছে গেলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। চাইলে ডাব, বাংলা কলা কিংবা পেপে খেয়ে শরীরের ক্লান্তিকে ঢাকতে পারবেন। পৌছে গেছেন শিলবান্ধা পাড়াতে? বাজার করে নিয়ে আসলে গাইডকে বুঝিয়ে দিন কি কি রান্না করতে হবে। আর বাজার করার কথা ভুলে গেলে কিংবা প্যারা মনে হলে গাইডকে জানিয়ে দিন দুপুরে কি খাবেন। রাত্রের খাবারের ব্যাপারেও এখন বলে রাখতে পারেন। প্রতি মিল বাবদ কত খরচ পরবে তা অবশ্যই জেনে রাখবেন।
কয়েকটা পরিবার, বাড়ি আর দুই/তিনটা দোকান মিলেই শিলবান্ধা পাড়া। ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। আর ইলেকট্রিসিটিও নেই। পাওয়ারব্যাংক ই শেষ ভরসা। তবে মানুষগুলো ভিশন আন্তরিক। ভাঙ্গা বাংলাতেই আপনাকে আপ্পায়ন করবে। মেম্বার থেকে শুরু করে কারবারি সবাই মাটির মানুষ। এই মানুষগুলোকে ভালো লাগতে সময় নিবে না।
বিশ্রাম হলো? এবার চলেন দেবতাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মিনিট ৩০ এর মতন হাটলে পেয়ে যাবেন কাংক্ষিত খুম! কিছু পথ হেটে যেতে পারলেও পথের একাংশ পাড়ি দিতে বাশের ভেলার সাহায্য লাগবে! হ্যা, দেবতাখুমের যেই ভাইরাল ছবিটি দেখেছেন ইতিমধ্যে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে। এক ভেলাতে অনায়াসে দুইজন বসতে পারবেন।
খুমের বর্ননা আমি নিজে দিলাম না। আপনার অনুভুতি দিয়ে নিজে খুমকে অনুভব করবেন। তবে এটা বলে রাখি, নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিজেকে আপনি নতুন করে খুজে পাবেন। চাইলে খুমে শরীরটা ডুবিয়ে নিতে পারেন তবে সাবধান, শুধু মাত্র সাতার জানলেই আর যদি লাইফ জ্যাকেট থাকে সাথে।। অন্যথায় ভেলায় বসে পা ভেজানোটাই স্রেয়।
পুরোনো পথ ধরে কচ্ছপতলি ফিরে এসেছেন? তাহলে এবার চাইলে ট্যাপের পানিতে গোসল সেরে নিতে পারেন। আর খুব ক্ষিদা লাগবে ভিন্ন কথা। খালি পেটে কি আর কিছু ভালো লাগে?
খাবার শেষে বিশ্রাম নিন। কিংবা টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে দিতে পারেন। দেবতাখুম নামকরনের পেছনের কাহিনী কি, লোকালয় হতে এতো দূরে কিভাবে জীবনযাপন করছে, কিংবা ভৌতিক কোনো বিষয় হতে পারে আপনাদের আড্ডার বিষয়বস্তু। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেলো? চাইলে পাড়ার পাশে সমতল যায়গায় ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন। গোল হয়ে বসে গান গাইলে মন্দ হবে না। তবে চিপস কিংবা কার্বনেটেট পানীয় খেলে অবশ্যই খালি বোতলগুলো নিজের সাথে নিয়ে ফিরবেন। কষ্টের কথা ভেবে আগুনে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
খুব গান হলো? চাইলে কিন্তু এই ক্যাম্প ফায়ারে ফিশ/চিকেন বারবিকিউ করতে পারতেন। আফসোস হচ্ছে?আমাদের মত আসফোস না করে আগে থেকেই বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। বারবিকিউ এর পর কি ডিনার করতে মন চাইবে? তাহলে বুঝে গেলেন, বারবিকিউ এর ব্যবস্থা করবে ডিনারের জন্য ফরমায়েসের প্রয়োজন নেই।
এবার ঘুমানোর পালা। যদি টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ক্যাম্পিং করে শুয়ে পড়ুন। নয়তো গাইডের ঠিক করা যায়গায় রাত্রিযাপন করতে হবে।
সকাল তো হলো, এবার উঠুন। নাস্তা শেষ করে সব গুছিয়ে বিদায় নিন সবার কাছ থেকে। কিভাবে ফিরতে হবে তা কি বলে দিতে হবে? এখন তো আপনি নিজেই জানেন। ফিরতি পথে কিন্তু অবশ্যই ময়লা/প্লাষ্টিক/বোতল/কলার খোসা এগুলো নিয়ে ফিরবেন নয়তো নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। এতো সুন্দর যায়গা কি ময়লা করা উচিৎ আপনি নিজেই বলুন!
যেভাবে এসেছিলেন ঠিক সেভাবে ফিরে যান বান্দরবন শহরে। রাতের বাসে ফিরে আসুন ঢাকায়।
আসুন, এবার দেখে নিই কতো খরচ হলো আপনার।
বাস ভাড়া: ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা
বাস পথিমধ্যে বিরতিতে খাবার খরচ: ১৫০+১৫০=৩০০ টাকা
বান্দরবন থেকে রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ড: ১০+১০=২০ টাকা
সকালের নাস্তা: ৩০+৫০=৮০ টাকা
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
দুপুরের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
রাত্রের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
ভেলা: ১০০ টাকা
গাইড: ১০০০/৪=২৫০ টাকা
সর্বমোট ৩০৩০ টাকা!যেভাবে এসেছিলেন ঠিক সেভাবে ফিরে যান বান্দরবন শহরে। রাতের বাসে ফিরে আসুন ঢাকায়।
আসুন, এবার দেখে নিই কতো খরচ হলো আপনার।
বাস ভাড়া: ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা
বাস পথিমধ্যে বিরতিতে খাবার খরচ: ১৫০+১৫০=৩০০ টাকা
বান্দরবন থেকে রোয়াংছড়ি বাসস্ট্যান্ড: ১০+১০=২০ টাকা
সকালের নাস্তা: ৩০+৫০=৮০ টাকা
বাসস্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলি: ৬০+৬০=১২০ টাকা
দুপুরের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
রাত্রের খাবার: ২০০+২০০=৪০০ টাকা
ভেলা: ১০০ টাকা
গাইড: ১০০০/৪=২৫০ টাকা
সর্বমোট ৩০৩০ টাকা!
অবশেষে একটা কথা মনে রাখবেন,
ঘুরতে যেয়ে পদচিহ্ন ছাড়া কিছু ফেলে আসবো না
ছবি আর স্মৃতি ছাড়া কিছু নিয়ে আসবো না
Happy Traveling