পান-থু-মাই |
Tour on Budget এর পক্ষ থেকে এবার আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম একটি অন্যরকম স্থান এর পরিচিতি। এ পর্বে আপনাদের জানাবো কিভাবে Budget Travel করে আসবেন সিলেটের "পান-থু-মাই" গ্রামটি।
সিলেট অঞ্চলটাকে যেন প্রকৃতি উদার হাতে ঢেলে দিয়েছে সব সৌন্দর্য, উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে। ক্রমবর্ধমান মানুষের চাপেও সেই সৌন্দর্য প্রায় অক্ষতই আছে এখনও, আর সেই অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে অনন্য সৃষ্টির একটি পান-থু-মাই গ্রাম, যাকে বলা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। প্রতিবছরই এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পান-থু-মাই গ্রামে আগমন ঘটে দেশি-বিদেশি বহু পর্যটকদের আর পান-থু-মাই-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো এই 'মায়াবতী ঝরনা'
সিলেট এর নতুন একটা দর্শনীয় স্থান “পাং থু মাই”। এই ঝর্নার নাম ‘বড়হিল ঝর্না’ এবং এই গ্রামের নাম ‘পাং থু মাই’ । গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজ থেকে প্রায় ১০কিলোমিটার দূরে ।
সিলেট এর নতুন একটা দর্শনীয় স্থান “পাং থু মাই”। এই ঝর্নার নাম ‘বড়হিল ঝর্না’ এবং এই গ্রামের নাম ‘পাং থু মাই’ । গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজ থেকে প্রায় ১০কিলোমিটার দূরে ।
তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ঝরনাটা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে পড়েনি, আমরা শুধু ওটাকে দূর থেকেই দেখতে পারি, কাছে যেতে পারি না। পান-থু-মাই যাবার সেরা সময় যদিও বর্ষাকাল, তারপরেও সারা বছরই যাওয়া যায়। আর ঝরনা দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন মায়াবতী নামটি কতখানি সার্থক হয়েছে। মেঘালয় রাজ্যের সারি সারি পাহাড়, ঝরনা, ঝরনা থেকে বয়ে আসা পানির স্রোত ধারা, আর সেই স্রোতধারা থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘পিয়াইন নদী’ আসলেই অসাধারণ। এ কারণেই হয়ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বলা হয় পান-থু-মাইকে।
এই পিয়াইন নদীতে সাঁতার না কাটলে, নিদেন পক্ষে ডুব না দিলে আপনার যাওয়াটাই বৃথা মনে হতে পারে! ছবি তোলার জন্য অসাধারণ জায়গা হতে পারে এটা। নদী, পাহাড়, পাথর আর স্রোত, সব কিছু মিলিয়ে সৌন্দর্যের এক অসাধারণ সমন্বয় হয়েছে এখানে।
কোথায়:
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে অবস্থিত পান-থু-মাই গ্রামটি। কেউ যেন ভাববেন না যে এটা জাফলং এর কাছাকাছি। জাফলং থেকে এটার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার, আর সিলেট শহর থেকে দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার।
কীভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সিলেট আসার জন্য বাস/ট্রেন সব আছে। বাসের ভেতর গ্রিন-লাইন, শ্যামলী, হানিফ, টি আর, সোহাগ, এনা পরিবহনসহ আরও বাস পাবেন। সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি বা ট্যাক্সি নিয়ে গোয়াইনঘাট এর মাতর-তুল এ যাবেন।
১। আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে গোয়াইনঘাট বাজার (সিএনজি , বেবি টেক্সি অথবা লেগুনায়)
২। গোয়াইনঘাট বাজার থেকে মাতুরাতল/আরাকান্দি (সিএনজি , বেবি টেক্সি অথবা লেগুনায়)
৩। মাতুরাতল/আরাকান্দি থেকে ‘পাং থু মাই’ (পাঁয়ে হেটে ৪/৫কিমি)
৪। জাফলং দিয়ে না গিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে সালুটিকর হয়ে গেলে দূরত্ব কম পড়বে।
অথবা: হাদার পার থেকে বোট নিয়ে বিছনাকান্দি ও পাং থু মাই এক সাথে দেখে আসা যায় – বোট ভাড়া ১০০০ – ১৫০০ টাকা (গোয়াইনঘাটের রাস্তা খুব একটা ভালো নয় , জাফলং হয়ে ও যাওয়া যায় )
খরচঃ
আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ভাড়া পড়তে পারে ৬০০ টাকা ৭০০ টাকা (রিজার্ভ), সেখান থেকে মাত্র ২ কি.মি পরেই এই পান-থু-মাই। সেটুকু রাস্তা হেঁটে গেলে বরং বেশি উপভোগ করতে পারবেন। এখানে বেশকিছু খাবারের রেস্তোরাঁ আছে। আপনি চাইলে সিলেট থেকে খাবার নিয়েও যেতে পারেন। ঘোরার সময় যদি প্রকৃতি সুরক্ষার দিকে নজর দেই আমরা তাহলে এই প্রকৃতি আরও অনেক অনেক দিন আমাদের পাশেই থেকে যাবে ঠিক এভাবেই।
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment