মিঠামইন হাওড় |
"বাড়ির হাওড়" - মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ
এলাকাটিকে কেউ মিঠামন, কেউ মিঠামইন, কেউ মিটামইন বা মিটামন বলে থাকেন। নামের উত্স সম্পর্কে জনশ্রুতি রয়েছে- সদর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক সময় প্রচুর খাগড়া বন ছিল। এই খাগড়ার ছিল মিষ্টি বা মিঠা রস। এই খাগড়ার বন থেকে মিঠাবন এবং সেখান থেকে মিঠামন বা মিঠামইন হয়েছে। আরও একটি জনশ্রুতি হলো, এলাকাটিতে এক সময় প্রচুর মইন গাছ ছিল। নদীর ধারে, পতিত জমিতে বা কান্দায় মইন গাছের বিপুল সমারোহ ছিল যা স্থানীয়ভাবে কায়জা নামে পরিচিত ছিল। ইক্ষু গাছের মতাে উচ্চতাবিশিষ্ট সরু গাছটির ভিতরে মিষ্টি রস ছিল। যারা মইন গাছের রস আস্বাদন করেছেন তারা এখনও স্মৃতিচারণ করে থাকেন। এই মিষ্টি বা মিঠা মইন থেকে মিঠামইন শব্দের উত্পত্তি বলে অনেকের অভিমত। স্থানীয়ভাবে ঠ কে ‘ট’ উচ্চারণ করার প্রবণতা দেখা যায় এবং কালক্রমে মিঠামইন থেকে মিটামইন বা মিটামন করেছে। কিন্তু উক্ত মাইন গাছ মিঠামইনে আর দেখা যায় না।
কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি, ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলা নিয়েই মূলত কিশোরগঞ্জের হাওড় এলাকা। শহর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ও কম সময়ে ঘুরে আসা যায় সেই জন্যে মিঠামইন হাওড় এলাকা ভ্রমণপ্রিয়াসু মানুষের সরগরম বেশি হয়ে থাকে।
ঢাকা থেকে যেতে হলেঃ
বাস অথবা ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জ সদর, সেখান থেকে রিক্সা/অটো দিয়ে এক্রামপুর বাস/সিএনজি স্ট্যান্ড, তারপর লোকাল সিএনজি/অটো অথবা রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে চামড়া/চামটা ঘাট। সেখান থেকে ঘন্টা অথবা সারাদিনের জন্যে ছোট ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে ইচ্ছে মত ঘুরে দেখা যাবে চারপাশ। ৩+ঘন্টার জন্যে ভাড়া লাগবে ৮০০-১২০০টাকা, দরদামের উপর নির্ভর করবে।
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment