কুষ্টিয়া ভ্রমণে যেখানে যেখানে যেতে পারেন

পথে পাবেন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর দেখা

কুষ্টিয়া ভ্রমণ


বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়া জেলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশকে করেছে সমৃদ্ধ। কুষ্টিয়া জেলায় জন্ম গ্রহন করেছেন বাউল সম্রাট লালন, সুরকার ও কবি আজিজুর রহমান, কবি দাদ আলী, লেখিকা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, আবু জাফর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যেতে ৬/৭ ঘন্টা সময় লাগে।

অবস্থানঃ
উত্তর পশ্চিম এবং উত্তরে পদ্মা নদীর অপর তীরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা এবং পূর্বে রাজবাড়ী জেলা অবস্থিত। ভারতের সাথে কুষ্টিয়ার ৪৬.৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে।

যাতায়াত পদ্ধতিঃ

কুষ্টিয়া জেলায় দুইটি উপায়ে ভ্রমণ করা যায়।
  • সড়ক পথ
  • রেল পথ

সড়ক পথে ভ্রমণঃ
গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুষ্টিয়া জেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। চেয়ার কোচ, ভলভো, হুন্দাই, এসি, নন-এসি সব ধরনের বাস যায়। ভাড়াঃ নন-এসি- ৪৫০ টাকা, এসি- ৭০০ টাকা, আর ভলভো, হুন্দাই- ১০০০ টাকা। 

ট্রেনে ভ্রমণঃ
কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে যমুনা সেতু হয়ে কুষ্টিয়া ট্রেন যোগে ভ্রমণ করা যায়। এই রুটের ট্রেন গুলোর মধ্যে চিত্রা, তূর্ণা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস এর মধ্যে অন্যতম।


যাত্রা পথে চোখে পড়বেঃ

  • সাভার স্বৃতিসৌধ
  • সাভার ক্যান্টনমেন্ট
  • জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়
  • সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান
  • নাটোর জেলার বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান
  • পাবনা জেলার বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান


দর্শনীয় স্থানঃ

  1. কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়ীঃ অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরদা দ্বারকানাথ ঠাকুর শিলাইদহ জমিদারী ক্রয় করে ১৮১৩ সালে তিনি কুঠিবাড়িটি নির্মাণ করেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ, জ্যোতিবিন্দ্র নাথ, হেমেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ ঠাকুর বংশের প্রায় সকলেই পদ্মা গড়াই বিধৌত এখানে বসবাস করেন। মূলতঃ জমিদারী কাজকর্ম দেখাশুনার জন্য এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সময়ে ঠাকুর পরিবারের কুষ্টিয়ার শিলাইদহ; নাটোরের পতিসর ও পাবনার শাহজাদপুরে তিনটি জমিদারী ছিল। পারিবারিক আদেশে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে জমিদারী পরিচালনার জন্য এসেছিলেন। কুষ্টিয়া শহর থেকে আলাউদ্দিন মোড় পর্যন্ত বাসে গিয়ে স্থানীয় যানবাহন রিক্সা-ভ্যান ও নসিমন যোগে যাওয়া যায়। কুষ্টিয়া শহর থেকে দুরত্ব ১ কিলোমিটার। সপ্তাহে প্রতি রবিবার এবং সোমবার বেলা ৩:০০ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এছাড়া অন্যান্য সব দিন সকাল ১০-০০ টা হতে সন্ধ্যা ৬-০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রত্নতত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন কুষ্টিয়া রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীর সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্বে একজন লাইব্রেরিয়ান-কাম-কাস্টোডিয়ান নিয়োজিত আছেন।
    শিলাইদহের কুঠিবাড়ী
  2. ছেঁউড়িয়াস্থ বাউল সম্রাট লালন শাহের মাজারঃ আধ্যাত্মিক সাধক লালন শাহ’র কুমারখালীর ছেঁউড়িয়াতে আশ্রয় লাভ করেন এবং পরবর্তীকালে ছেঁউড়িয়াতে মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি স্থলেই এক মিলন ক্ষেত্র (আখড়া) গড়ে ওঠে। ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অগনিত বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে উঠে। এই মরমী লোককবি নিরক্ষর হয়েও অসংখ্য লোক সংগীত রচনা করেছেন। লালন শাহর মাজার কুষ্টিয় শহর থেকে দুরত্ব প্রায় ৪ কিঃমিঃ। কুষ্টিয়া শহর থেকে গাড়ী,রিক্সা ও ভ্যানে যাওয়া যায় সপ্তাহে প্রতিদিন খোলা থাকে। নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত।
    লালন শাহের মাজার
  3. মীর মশাররফ হোসেনের বসত ভিটাঃ বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বসত ভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছোট আকারের একটি লাইব্রেরী আছে। ১৭ অক্টোবর ২০০৮ সালে মীর মশাররফ হোসেনেরনামে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদ কুষ্টিয়া কর্তৃক একটি লাইব্রেরী ও অডিটরিয়াম নির্মান করা হয়। কুষ্টিয়া শহর থেকে গাড়ী,বাস ও ভ্যানে যাওয়া যায়। কুষ্টিয়া শহর থেকে দুরত্ব ৬ কিঃমিঃ।
    মীর মশাররফ হোসেনের বসত ভিটা
  4. ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদঃ কুষ্টিয়া সদর থানার অমত্মর্গত ঝাউদিয়া গ্রামে শাহী মসজিদ মোঘল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে ঝাউদিয়ার জমিদার শাহ সূফী আহমদ আলী ওরফে আদারী মিয়া নির্মাণ করেন। এটি মোঘল শিল্পকলার এক অপূর্ব নিদর্শন। মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এবং এর চার কোনায় চারটি বড় মিনার আছে। ১৯৮০ সাল থেকে প্রত্নতত্ব বিভাগ এটি সংরক্ষণ করে আসছে। ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া শহর থেকে সড়ক পথে যাওয়া যাবে। কুষ্টিয়া শহর থেকে দুরত ২২ কিঃ মিঃ। স্থানীয় পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা মসজিদটি পরিচালিত হয়ে থাকে।
  5. ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ


    ========================================================================

    মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়া জেলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশকে করেছে সমৃদ্ধ।

Post a Comment

  1. https://www.yogsutra.com/kushtia-bangladesh.html
    এটা দেখতে পারেন যারা কুষ্টিয়াতে আসতে চান ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য...

      Delete

[blogger]

Author Name

{picture#https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1196479430442738} YOUR_PROFILE_DESCRIPTION {facebook#https://www.facebook.com/alwasikbillah} {twitter#https://twitter.com/awasikb} {google#https://plus.google.com/112469283873821392454} {instagram#https://www.instagram.com/awasikb}

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.