এই পোস্ট এ আমি আলোচনা করব কিভাবে সস্তায় ঢাকা- চিটাগাং যাতায়াত করা যায়।
কিছুদিন আগে একজন জিজ্ঞেস করল কিভাবে চিটাগাং মেইলে সস্তায় সীতাকুন্ড/চিটাগাং যাওয়া যায়। তাই ভাবলাম রিপ্লাইটা সবার জন্য দিয়ে দেই!
একসময় প্রতি সপ্তাহেই চিটাগাং যাওয়া লাগতো। পকেটে টাকার সংকট থাকলেও যেতে হতো। সেসময় যেসব লাইন ঘাট শিখেছিলাম তারই সংকলন এটি।
চিটাগাং মেইলের টিকেট হয় কিন্তু সিট হয়না। স্লিপিং বার্থ সিটসহ আরামে যেতে হলে কূপ/কেবিন রিজার্ভেশন দিতে হবে আগে। আর ৮০/১১৫ টাকায় যে টিকেট মেলে সেটাতে সিট নাম্বার থাকেনা।
প্রথমটি হলোঃ রাত আটটায় কমলাপুরে চিটাগাং মেইল লাইনে দেয়। আগে গেলে আগে পাবে এই মেথডে সিট দখল যে করবে সেই সিট পাবে। সুতরাং বটম লাইন হলো ট্রেন দশটার হলেও সিট পেতে চাইলে কমলাপুরে আটটায় গিয়ে সিট দখল করতে হবে।
তবে পকেটে টাকা থাকলে শুধু এডভেঞ্চারের লোভে এই পথে না যাওয়াই ভালো। কারণ সরকার আর্থিকভাবে অক্ষম গরীব মানুষদের জন্য এই সার্ভিস চালু রেখেছে। তাই নিতান্ত শখের বশবর্তী হয়ে উনাদের প্রয়োজনীয় যাতায়াতের হক মেরে লাভ নাই।
দ্বিতীয়টি হলোঃ সায়েদাবাদ ফ্লাই ওভারের গোড়ায় গিয়ে রাত এগারোটার পর দাড়াতে হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে চট্টগ্রাম গামী বাসগুলোতে দেড়শো-দুইশো টাকায় চট্টগ্রাম/সীতাকুন্ড যাওয়া পসিবল। তবে পাঁচ-ছয়জন না হলে এই এটেম্প্ট নিবেন না। ঐখানে অনেক দালাল থাকে। ওদের পাল্লায় পড়া যাবেনা।
তৃতীয়টি হলোঃ ঢাকা সদরঘাট থেকে রাত বারোটার লঞ্চে একশো টাকায় চাঁদপুর। চাঁদপুর থেকে ভোর পাঁচটার মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে সীতাকুন্ড/চিটাগাং। সকাল দশটায় চিটাগাং নামিয়ে দিবে। খরচ হবে লঞ্চে ট্রেনে ১০০-১৮৫ টাকা ক্লাস আর সিটভেদে।
এছাড়াও আছেঃ
সায়েদাবাদ জনপথের মোড়ে রাত বারোটায় পত্রিকার মাইক্রোবাস ছাড়ে। জনপ্রতি দেড়শো দুইশোতে চিটাগাং যাওয়া যায়। তবে পাঁচ ছয়জন না হলে এই এটেম্পট নিবেন না।
গরীবের বন্ধু সিডিএম পরিবহন। টিকেট আড়াইশো-তিনশো টাকা। চিটাগাং যেতে আট-নয় ঘন্টা লাগে। বাসগুলো বেশ ভালোই। ওরা ইউনিক -হানিফের পুরোনো বাসগুলো কিনে চালায়।
চিটাগাং রোডে হাতের ইশারায় ট্রাক/লরি থামিয়ে যাওয়া যায়। ট্রাকের ককপিটে কেবিন থাকে। ঘুমিয়েও যাওয়া সম্ভব। মামারা একশো -দেড়শো টাকাতেই মেনে নেন। সময় লাগে আট-দশ ঘন্টা।
রেগুলার নন এসি বাসে ঢাকা-চিটাগাং ভাড়া ৪৮০টাকা। যা দূরত্ব সাপেক্ষে অন্যায্য। ট্রেনের ভাড়া আগে কম ছিলো, এখন বেড়ে ৩৬৫টাকা হয়েছে। কিন্তু দালাল ছাড়া হুট করে পাওয়া কষ্ট। দালাল ৬০০টাকার নিচে দেয়না।
তাই যাদের পয়সা কম কিন্তু যাওয়া জরুরী তারা এগুলো ট্রাই মারতে পারেন। নচেৎ নিরাপদ জার্নির জন্য প্রচলিত পরিবহণে যাওয়াই ভালো।
** আরো অনেক ট্রিক্স আছে। ফাও যাওয়া সম্ভব। কিন্তু সেইখানে সরকারের হক মারা হয় বলে উল্লেখ করলাম না!
কার্টেসিঃ অপু নজরুল
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
২য় সাধারণ সিট ও ২য় মেইল সিট এর মধ্যে তফাৎ কী আর লোকাল ট্রেনের টিকেট কিভাবে ক্রয় করতে হয়?
ReplyDelete