গোলাপী পাহাড় |
এর আগে আমার লেখা আরও একটি পোস্ট আছে সুসং দুর্গাপুর, নেত্রকোনা নিয়ে... সেটা পড়তে ক্লিক করুন আমার দুর্গাপুরের বিরিশিরি ভ্রমণ
এবার আসি একদিনের ভিতরে কিভাবে ট্যুর শেষ করবেন...
প্রথম থেকেই প্লান ছিল কিভাবে সবচাইতে কম খরচে একদিনে ঘুরে আসা যায় দুর্গাপুর থেকে। সেই প্লান মতই গত ১ এপ্রিল,২০১৭ এ আবার ঘুরে আসলাম দুর্গাপুর থেকে। খরচ হয়েছে ঢাকা থেকে জন প্রতি ৬৬০ টাকা।
প্রথমেই খুব ভোরে (৫.৩০ এর মাঝে) মহাখালি থেকে ময়মনসিংহ গামি যেকোন বাসে (শ্যামলী বাংলা/ইমাম) উঠে পড়ুন, ভাড়া নিবে ১২০ টাকা। [অথবা ঢাকা থেকে সরাসরি রাত ৪.৪০/৫ টার দিকে বলাকা ট্রেন ছাড়ে, তা দিয়ে সরাসরি ঝারিয়া চলে যেতে পারেন। ]
৮.৩০ টার মাঝে ব্রিজে নেমে গাঙিনারপাড় গামি অটোতে করে চলে যান ময়মনসিংহ রেলস্টেশন এর সামনে। ঝারিয়া গামি বলাকা এক্সপ্রেস এর টিকেট কেটে ফেলুন (৩৫ টাকা)। শিডিউল অনুযায়ী ৮.৪০ এ ছারার কথা থাকলেও, ট্রেন এসে পৌঁছায় ৯ টার পর। তাই ছাড়ে ৯.২০/২৫ এ।
১.৩০ ঘণ্টায় চোখে পরবে রেল লাইনের দুপাশের অপরূপ সৌন্দর্য। ঠিক এগার টায় পৌছে যাবেন ঝারিয়া। স্টেশন থেকে বেরিয়ে সোমেশ্বরী নদী পার (নৌকা ভাড়া-৫) হয়ে মাহেন্দ্র পাওয়া যাবে, ঝারিয়া থেকে দুর্গাপুর এর ভাড়া নিবে ৪০ টাকা। ১ ঘন্টার মাঝে নিয়ে যাবে। এই রাস্তা টার খুবই খারাপ অবস্থা।
১টার মাঝে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন দুর্গাপুর বাজার থেকে (আমাদের জন প্রতি ৮৫ টাকা বিল ছিল ভর্তা + মুরগি + ডাল)।
তারপর আবারও নদী পার হয়ে চলে যান শিবগঞ্জ বাজার। নদীর পাড়েই পাবেন অনেক বাইক, মাত্র ৩০০ টাকায় দুইজন করে উঠতে পারবেন। সবগুলো স্পট ঘুড়িয়ে দেখাবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দিবে।
৫টার মাঝে আবার ফিরে আসুন শিবগঞ্জ, নদী পাড় হয়ে আবারো মাহেন্দ্র দিয়ে ঝারিয়া স্টেশন চলে আসুন। লোকাল ট্রেন পাবেন, ৬.১০ এ ছাড়ার সময় থাকলেও ছাড়বে ৬.৪০ টার দিকে। ৬.১০ টার ট্রেন না পেলেও রাত ১০.৩০/১১ টায় আবারও ট্রেন আসবেই (ভাড়া ২০ টাকা)। ১২.২০ এর মাঝে চলে আসবে ময়মনসিংহ। সেখান থেকে চলে আসুন আবার ব্রিজে, সারারাতই ঢাকাগামি বাস পাওয়া যায়, ভাড়া ১২০ টাকা।
সন্ধ্যার ট্রেনে আসলে রাত ১২ টার মাঝেই ঢাকা আসা সম্ভব। আমরা ১১টার ট্রেনে আসায় ঢাকা আসতে আসতে ভোর ৪ টা বাজে।
========================================================================
মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Post a Comment